কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
রেল কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের একাংশ এর জন্য দায়ী। যদিও স্থানীয়দের অভিযোগ, শুধু ব্যবসায়ীরা নয়, রেলের লোকজনও আবর্জনা ফেলছেন। এমনকী কিছু সমাজসেবী সংগঠন দুঃস্থদের খাওয়ানোর জন্য স্টেশনে আসেন। তাদের মধ্যেও কেউ কেউ উচ্ছিষ্ট খাবার সেখানে ফেলে দিয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে ক্রমেই অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠছে এলাকা। আবর্জনা জমতে থাকায় জায়গাটি অলিখিত ভ্যাটে পরিণত হয়ে গিয়েছে। মাঝেমধ্যেই সেখান থেকে আবর্জনা উপচে রাস্তায় চলে আসছে। নিয়মিত পরিষ্কার না হওয়ায় দিনে দিনে আবর্জনা বেড়েই চলেছে। মশা-মাছির উৎপাত বাড়ছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সবকিছু দেখেও উদাসীন রেল কর্তৃপক্ষ।
রানাঘাট-২ ব্লকের রঘুনাথপুর এলাকার এক বাসিন্দা মিঠুন মণ্ডল বলেন, স্টেশনে যাওয়ার রাস্তার পাশে এভাবে আবর্জনা থাকায় সমস্যা হচ্ছে। রোগ ছড়ানোর ভয় থাকে। কর্তৃপক্ষের বিষয়টি দেখা উচিত। যদিও এব্যাপারে জানতে চেয়ে রানাঘাট স্টেশন সুপারিন্টেন্ডেন্টকে একাধিকবার ফোন করা হলেও ধরেননি। মেসেজেরও জবাব দেননি।
রানাঘাট জংশন রেল স্টেশন জেলার একটি ব্যস্ততম স্টেশন। নিত্যদিন স্টেশন থেকে বিভিন্ন রুটে ট্রেন চলাচল করে। হাজার হাজার নিত্যযাত্রী রানাঘাটে আসেন অথবা অন্যত্র যাতায়াত করেন। স্টেশনে ঢোকার মূল গেটের কাছেই বেশ খানিকটা জায়গায় রেলের পাথর, বালি সহ নানা সামগ্রী ফেলে রাখা হয়েছে। তার উপর ঝড়ে পড়ে যাওয়া একটি বড় গাছ সরানো হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, গাছটি পড়ে থাকায় অন্তত দু’-তিনটি গাড়ি পার্কিং করার মতো জায়গা নষ্ট হচ্ছে। ফলে চলাফেরার পথ সংকীর্ণ হয়েছে। এছাড়াও স্টেশনে ঢোকার মুখে অবৈধভাবে মোটরবাইক পার্কিং করে রাখা হয়। যা নিয়ে রেল পুলিস বুধবার অভিযান চালায়। প্রায় ২৫-৩০টি মোটরবাইক মালিককে সতর্ক করা হয়। আবর্জনার স্তূপের কাছেই রেলের অনুমোদিত সাইকেল গ্যারেজও রয়েছে। জায়গা কমে যাওয়ায় অনেকে আবর্জনার উপরও সাইকেল রাখতে বাধ্য হন। রানাঘাট শহরের বাসিন্দা নিত্যানন্দ প্রামাণিক বলেন, মডেল স্টেশন তৈরি করা হবে বলে আমরা শুনেছি। সেই স্টেশনের বাইরে এই অবস্থা হলে কিছুই বলার নেই।
স্থানীয় রেলবাজার সংযুক্ত ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি পিন্টু সরকার বলেন, রেল এবং পুরসভার কিছু বাসিন্দা বিক্ষিপ্তভাবে আবর্জনা ফেলেন। জায়গাটি খারাপ হয়ে রয়েছে। অবিলম্বে এব্যাপারে রেলের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করা দরকার। রানাঘাট পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বলেন, রেলের জায়গায় পুরসভার তরফ থেকে কোনও আবর্জনা ফেলা হয় না। বরং মাঝেমধ্যে পুরসভার পক্ষ থেকে ওই জায়গাটা পরিষ্কার করে দেওয়া হয়। রেলের দায়িত্ব বিষয়টির ওপর নজর দেওয়া।