বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
শিল্পাঞ্চলের এই জেলায় চাষাবাদ অত্যন্ত কম হয়। সব্জি বা আলুর ক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী জেলার উপর ভরসা করতে হয়। স্বাভাবিক কারণেই অন্যান্য জেলার তুলনায় এই জেলায় হেঁশেলের এইসব অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর দর একটু বেশি হয়। এবার সব্জি ও আলুর দাম আকাশছোঁয়া হয়েছিল। সব্জির দাম কমলেও আলু এখনও ঊর্ধ্বমুখী। নতুন আলু বাজারে এলেও দাম চল্লিশের নীচে নামেনি। এই অবস্থায় মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা চরম বিপাকে পড়েন। অবশেষে সুফল বাংলার আউটলেট কিছুটা হলেও তাঁদের স্বস্তি দিয়েছে। মাসখানেক আগে জেলায় চারটি স্টল থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি শুরু করে কৃষি বিপণন দপ্তর ও জেলা নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি। কিন্তু ব্যাপক চাহিদার কারণে বর্তমানে আউটলেটের সংখ্যা বাড়িয়ে ৩৫টি করা হয়েছে। তাতেও মানুষের লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, যেহেতু এই জেলায় আলু উৎপাদন সেভাবে হয় না, তাই প্রথমে পূর্ব বর্ধমান আরএমসির মাধ্যমে এক লরি করে আলু প্রতিদিন আনা হচ্ছিল। তাতে চাহিদা পূরণ না হওয়ায় হুগলির আরএমসির সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। এখন ওই দুই জেলা থেকে দিনে গড়ে চার থেকে পাঁচ লরি আলু এনেও মানুষের চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না। এই জেলায় ২৫ টাকার এই আলুর আউটলেট এতটাই সাড়া ফেলেছে যে, ২৬ নভেম্বর বামেদের ডাকা ধর্মঘটের দিনও মানুষকে লাইন দিয়ে আলু নিতে দেখা গিয়েছে। আসানসোল সংশোধনাগারের সামনে যে আউটলেটটি খোলা হয়েছে, তাতে ছুটির দিন বা প্রবল ঠান্ডা উপেক্ষা করেও মানুষ লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। জানা গিয়েছে, ওই আউটলেট থেকেই প্রতিদিন গড়ে এক হাজার বাসিন্দাকে আলু দেওয়া হচ্ছে।
অতিরিক্ত জেলাশাসক শুভেন্দু বসু বলেন, আমরা জেলায় ৩৫টি অস্থায়ী আউটলেট খুলেছি। মানুষের চাহিদা রয়েছে। আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি। তবে অনেকে বিভিন্ন আউটলেটে গিয়ে বেশি পরিমাণ আলু সংগ্রহের চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ। দপ্তরের সহ অধিকর্তা দিলীপ মণ্ডল বলেন, অভিযোগ পেলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।