বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
গত তিন মাসের পরিসংখ্যান দিলে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা জেলায় কতটা কমছে, তা বোঝা যাবে। স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর মাসে শুধু ৫৪৬০ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। এক মাসে জেলায় ৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই তুলনায় অক্টোবর মাসে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমেছিল। ওই মাসে ৩৭৯৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। মৃত্যুর সংখ্যা কমে হয় ৪৩। সেপ্টেম্বর, অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বর মাসে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই কমেছে। নভেম্বরে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭৯৯ জন(২৮ নভেম্বর পর্যন্ত), যা অক্টোবরের তুলনায় অর্ধেকেরও কম। ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত জেলায় ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত কমতে থাকায় জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিক থেকে সাধারণ মানুষ, সকলেই কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন। স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১ নভেম্বর পর্যন্ত জেলায় ১৪ হাজার ১১৫ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই সময় পর্যন্ত জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২৮ নভেম্বর জেলায় আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ১৫ হাজার ৯১৪ জন। আর মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৩২ জন। গত মার্চ মাসের শেষের দিক থেকে জেলায় করোনার প্রকোপ শুরু হয়। কিন্তু, সেই সময় জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কম ছিল। মার্চ থেকে আগস্ট মাসের প্রথম দিক পর্যন্ত জেলায় ২০০০ মানুষও আক্রান্ত হননি। আগস্ট মাসের শেষের দিকে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়। মূলত, আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। সেপ্টেম্বর মাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যায়। অক্টোবর থেকেই আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করে। তবে, পুজোর পর ফের করোনার ঢেউ আসার আশঙ্কা ছিল। সেই মতো স্বাস্থ্যদপ্তরের পক্ষ থেকে পরিকাঠামো তৈরি করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু, বাস্তবে নভেম্বর মাসে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। আয়ুষ স্যাটেলাইট হাসপাতালে রোগী ভর্তি না হওয়ায় হাসপাতালটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ডেবরা সেফ হোমেও করোনা রোগী ভর্তি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গত ১ নভেম্বর জেলার বিভিন্ন করোনা হাসপাতালে ১৫০ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। এই এক মাসের মধ্যে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যাও কমতে শুরু করেছে। ২৮ নভেম্বর জেলার বিভিন্ন করোনা হাসপাতালে ৫৯ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। ফলে, জেলায় হাসপাতালে করোনা-রোগী ভর্তির সংখ্যাও দ্রুত কমছে।