কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
আরামবাগ মহকুমার পিডব্লুডি ইঞ্জিনিয়ার অলোক চক্রবর্তী বলেন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ওই ব্রিজ সংস্কারের কাজ চলছে। আগামী ১ জানুয়ারি থেকেই ওই ব্রিজ দিয়ে দ্বিমুখী ভারী যান চলাচল করতে পারবে। গত ২ নভেম্বর থেকে সরকারি সহায়ক মূল্যে চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনার কাজ শুরু হয়েছে। ওই ধান কিষাণ মান্ডি থেকে লরিতে করে সরাসরি পৌঁছে যায় সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকা রাইস মিলগুলিতে। কিষাণ মান্ডি থেকে রাইস মিলে ধান পৌঁছনোর জন্য কুইন্টালপিছু ১৮ টাকা ৩৮ পয়সা বরাদ্দ করা হয় সরকারের তরফে। পরবর্তী সময়ে এক কুইন্টাল ধানের বিনিময়ে প্রায় ৬৮ কেজি চাল রাইস মিল থেকে ফেরত যায় সরকারের কাছে। সেই ধান বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে পৌঁছচ্ছে না আরামবাগ ও বর্ধমানের ১৩০টি রাইস মিলে।
পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়া জেলার কোতুলপুর, বিষ্ণুপুর, জয়রামবাটি সহ বিস্তীর্ণ জায়গা কৃষি প্রধান এলাকা বলে পরিচিত। কিন্তু, ওই এলাকায় উল্লেখযোগ্য রাইস মিল নেই। তাই সেখানে উৎপাদিত ধানের বড় অংশ আসে আরামবাগ ও পূর্ব বর্ধমান জেলার ১৩০টি রাইস মিলে। তারমধ্যে আরামবাগেই রয়েছে ৮২টি রাইস মিল। যদিও বর্তমানে ব্রিজ সংস্কারের জন্য পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে আসা পণ্যবোঝাই লরিগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কামারপুকুরের চটি মোড় থেকে বেঙ্গাই হয়ে একলক্ষ্মী মোড় ঘুরে আরামবাগ-বর্ধমান রাজ্য সড়কে তোলা হচ্ছে গাড়িগুলিকে। কিন্তু, কামারপুকুর চটি মোড় থেকে বেঙ্গাই পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার রাস্তা বর্তমানে যানবাহন চলাচলের সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যার জেরে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই সড়ক বছর খানেক আগেই তৈরি হয়েছে। কিন্তু, বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তা বেহাল হয়ে পড়েছে। পিচের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না।
আরামবাগ রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য জয়ন্ত মল্লিক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ব্রিজ সংস্কারের কাজ চলছে। এই সময় পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়া জেলা থেকে লরিবোঝাই ধান মিলে আসে। কিন্তু, রাস্তা খারাপের কারণে ঘুরপথে ধানের লরি আসতে চাইছে না। এতে চরম সমস্যা হচ্ছে। অবিলম্বে ওই রাস্তা সংস্কার ও ব্রিজ স্বাভাবিক করার দাবি জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, ধান আনার জন্য সরকারের তরফে কুইন্টাল পিছু যে টাকা বরাদ্দ করা হয়, তা দিয়ে ঘুরপথে মান্ডি থেকে মিলে ধান আনা সম্ভব হচ্ছে না।
ব্রিজ সংস্কারের কারণে আরামবাগ মহকুমার প্রায় পাঁচ হাজার লরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ওই লরিগুলিতে মূলত বালি পরিবহণ করা হয়। বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন বালি খাদান থেকে বালি নিয়ে তা আরামবাগ, কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছনোর কথা। কিন্তু, তাতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আরামবাগের ব্রিজ। এক লরি মালিক বলেন, লকডাউনের কারণে টানা বেশ কয়েকমাস লরি চলাচল বন্ধ ছিল। বালির মরশুমে আবার ব্রিজ সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত ব্রিজ চালু না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।