বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, এই কর্মসূচির জন্য সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কবে কোথায় এই কর্মসূচি রয়েছে তা জেলার ওয়েবসাইটেও তুলে দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রচারও করা হবে। এই কর্মসূচির সফল রূপায়ণে জেলা আধিকারিকদের ঝাঁপিয়ে পড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রানাঘাটের মহকুমা শাসক রানা কর্মকার বলেন, দুয়ারে সরকার প্রকল্পটি বিভিন্ন ব্লকের প্রতিটি পঞ্চায়েত এবং পুরসভাগুলির কয়েকটি ওয়ার্ড নিয়ে শিবির করা হবে। কোনও মানুষ যাতে সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত না হন তার জন্যই এই কর্মসূচি। কেউ আবেদনপত্র পূরণ করতে পারছেন না, কেউ আবার অনেকদিন আবেদন করার পর পরিষেবা পাননি এই ধরনের নানারকম অসুবিধার সমাধান সহ নতুন করেও এই শিবিরগুলি থেকে পরিষেবা প্রদান করা হবে।
পাশাপাশি জানা গিয়েছে, প্রকল্পগুলি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের অভাব, অভিযোগ থাকলেও সেগুলি শোনা হবে। সেই কাজ যাতে দ্রুততার সঙ্গে করে দেওয়া সম্ভব হয় তার জন্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা বিষয়গুলির উপর নজর রাখবেন। প্রশাসন সূত্রের খবর, মোট চারটি পর্যায়ে এই শিবির করা হবে। প্রথম পর্যায়ে শিবিরটি আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে শুরু করে চলবে আগামী ১১ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপর দ্বিতীয় শিবির ১৫তারিখ থেকে শুরু করে চলবে ২৪ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে তৃতীয় এবং চতুর্থ পর্যায়ে শিবির যথাক্রমে আগামী বছরের ২-১২ ও ১৮-২৮জানুয়ারি করা হবে। প্রথম শিবিরে উপভোক্তাদের কাছ থেকে আবেদনপত্র নেওয়া হবে। এরপর যেসব পরিষেবা তৎক্ষণাৎ দেওয়া সম্ভব সেগুলি দেওয়া হবে। আর যেসব পরিষেবা দিতে সরকারি স্তরে খোঁজখবর সহ বিভিন্ন প্রক্রিয়া থাকে সেগুলি পরের শিবিরে প্রদান করা হবে। এভাবেই চতুর্থ পর্যায়ের শিবিরের মধ্যেই কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
রানাঘাট শহরের বাসিন্দা অলককুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সরকারি কোনও পরিষেবা পেতে পঞ্চায়েতে গেলে কর্মীরা নানা কাজে ব্যস্ত থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই সময় লেগে যায় বেশি। এই শিবির চালু হলে আশা করি দ্রুত পরিষেবা পাওয়া যাবে। তবে শুধু বিশেষ ক্যাম্প নয়, সারাবছরই যাতে বিভিন্ন পরিষেবা সহজে পাওয়া যায় তার দিকেও নজর দিতে হবে। উল্লেখ্য, নদীয়া জেলায় এরকম কর্মসূচি এর আগেও হয়েছে। বিভু গোয়েল জেলাশাসক থাকাকালীন ‘সমন্বয়’ নামে একটি কর্মসূচি করে অনেকটা একইভাবে এই কাজ করেছিলেন। করিমপুর-১ ব্লকের বিডিও অনুপম চক্রবর্তী ও কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের বিডিও কামালউদ্দিন আহমেদ বলেন, নিঃসন্দেহে এই কর্মসূচি ভালো সাড়া ফেলবে। বহু মানুষ উপকৃত হবেন।