কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
শুক্রবার দুপুরে ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া রামপুরহাট থানার রদিপুর গ্রাম থেকে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক উদ্ধার করে পুলিস। বিস্ফারকগুলি ওই গ্রামের শেষপ্রান্তে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে লুকিয়ে রাখা ছিল। উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকগুলির মধ্যে ২৩ হাজার ৬০০পিস জিলেটিন স্টিক ও ২৪ হাজার পিস ডিটোনেটর ছিল। সেই সময় বাড়ির মালিকের কোনও হদিশ পায়নি। পরে তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, ওই পরিত্যক্ত বাড়ির মালিক রদিপুর গ্রামের সম্রাট রায়চৌধুরী। এফআইআরে তদন্তকারী অফিসার লিখেছেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ জানা গিয়েছে, বহু বছর ধরে সম্রাট বিস্ফারক পদার্থের অবৈধ ব্যবসা চালাচ্ছেন এবং বিভিন্ন পাথর কোলিয়ারিতে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করছেন। পুলিস তাঁর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনের ৩/৪ ধারায় মামলা শুরু করেছে। তাঁকে গ্রেপ্তার করতে তৎপর হয়েছে পুলিস। এব্যাপারে সম্রাটের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আটবছর আগে ওই বাড়িতে শুয়োরের ফার্ম করেছিলাম। না চলায় বন্ধ করে দিই। বাড়িটি দীর্ঘদিন ধরে ছাদবিহীন ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। ঝোপ-জঙ্গলে ভর্তি থাকায় সেভাবে নজরও দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, আমি বিজেপি ভক্ত হওয়ায় শাসকদল ইচ্ছাকৃতভাবে আমাকে জড়িয়েছে। কে বা কারা এই বিস্ফারক কারবারের সঙ্গে যুক্ত পুলিস সঠিক তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে। যদিও ফাঁসানোর অভিযোগ অভিযোগ অস্বীকার করে এলাকার তৃণমূল নেতা তথা বনহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জহিরুল ইসলাম বলেন, বনহাট অঞ্চলে তৃণমূল এরকম নোংরা রাজনীতি করে না যে, বিজেপি দল করে বলে তাঁকে ফাঁসাতে যাবে।