বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মুর্শিদাবাদের পুলিস সুপার কে শবরী রাজকুমার বলেন, অভিযুক্তদের নাম আমরা ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছি। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান পাওয়া গিয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মহালন্দি-২ পঞ্চায়েতের ওই সদস্য বুধবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বাড়ি ফেরেন। খাওয়াদাওয়ার পর তাঁর মোবাইলে একটি ফোন আসে। ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এরপরই ওই পঞ্চায়েত সদস্য বাইক নিয়ে বেরিয়ে যান। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হানিফ শেখ বলেন, ওরা আমাকেও প্রাণে মারার ছক করেছিল। দাদা জীবন্তী হল্ট স্টেশনের কাছে একটি চায়ের দোকানে আসতেই পরিচিত চার-পাঁচজনের সঙ্গে তার বচসা শুরু হয়। এরপরই হঠাৎ করেই তাদের একজন সামনে থেকে দাদার বুকে গুলি করে। দাদা লুটিয়ে পড়লে ভোজালি এবং অন্যান্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে তারা কোপাতে থাকে। একজন ছুরি দিয়ে গলার নলি কেটে দেয়। আমি বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ওরা আমার ওপরও হামলা করে। হাতে ভোজলির কোপ মাবে। কোনও রকমে সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচেছি। মৃতের স্ত্রী নাজিয়া বিবি বলেন, বুধবার রাতে ফোন আসার পরেই ও বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। পরিকল্পনা করে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে।
তৃণমূল নেতা বাগবুল হোসেন বলেন, এই ঘটনায় যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বুধবার রাতেই হল্ট স্টেশনের কাছে মদের আসর বসেছিল। সেখানেই সাত-আটজন অভিযুক্ত ছিল। মদের আসর থেকেই ওই পঞ্চায়েত সদস্যকে ফোন করা হয়। বেশ কিছুক্ষণ ধরেই তাদের মধ্যে ফোনেই কথা কাটাকাটি হয়।
আত্মীয়দের দাবি, এলাকায় কোনও সমস্যা হলে তা বৈঠক করে মিটিয়ে দিতেন রাজা। তার ফলে এলাকায় তাঁর প্রভাব বাড়ছিল। সেটাই তাঁর এক বন্ধু মেনে নিতে পারেনি। সেই কারণেই তাঁকে খুন করা হয়েছে।
যদি পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত সদস্য হওয়ার পর থেকেই এলাকায় দাপট বেড়ে গিয়েছিল ওই তৃণমূল নেতার। বিভিন্ন বিষয়ে তিনি হস্তক্ষেপ করতেন। বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে জীবন্তী হল্ট স্টেশনে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে হামেশাই যেতেন। সেই আড্ডায় অভিযুক্তরাও থাকত। তারা বিভিন্ন কাজ একসঙ্গে করেছে। এই সমস্ত বিষয় নিয়েই তাদের মধ্যে কয়েক দিন ধরেই বিরোধ শুরু হয়। এর পরেই ওই তৃণমূল নেতাকে খুনের ছক করা হয়েছিল বলে তদন্তকারীদের অনুমান।