পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গত বুধবার সিউড়ির জেলা স্কুলমাঠে সভা করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ওই দিন সিউড়ি শহরে কর্মীদের নিয়ে মিছিলও হয়। পরে জেলা স্কুলমাঠের সভাস্থলে জমায়েত করা হয়। দিলীপবাবুর সভার পাল্টা কর্মসূচি করল তৃণমূল। পূর্ব ঘোষণামতো এদিন বিকেল ৩টে নাগাদ সিউড়ি, বোলপুর, রামপুরহাট, সাঁইথিয়া, দুবরাজপুর ও নলহাটি শহরে মহিলা তৃণমূলের নেতৃত্বে মিছিল হয়। পুরসভাগুলির সংলগ্ন ব্লকের কর্মী-সমর্থকরাও এদিন কর্মসূচিতে যোগ দেন।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকেলে সিউড়ি শহরে পার্টি অফিস থেকে একটি মিছিল শুরু হয়। সিউড়ি-১ ব্লক তৃণমূলের মিছিলটি বেণীমাধব মোড় থেকে শুরু হয়। শহর ও ব্লক তৃণমূলের কর্মীদের মিছিল দু’টি জেলা স্কুলের মাঠে এসে জমায়েত করে। যে মাঠে বিজেপির সভাপতি দিলীপবাবু সভা করেছিলেন সেখানে মহিলা তৃণমূল কর্মীরা গোবর জল দিয়ে ঝাঁট দেন। পাশাপাশি দিলীপবাবুর একটি কুশপুতুল তৈরি করা হয়। সেই কুশপুতুলে গোবর জল মাখিয়ে স্যানিটাইজ করা হয় বলে দাবি তৃণমূলের। এছাড়া সারা মাঠে স্যানিটাইজার স্প্রে করা হয়। এমনকী, মশা মারা কামানের ধোঁয়াও মাঠজুড়ে ছড়ানো হয়। সিউড়ির কর্মসূচিতে ছিলেন দলের সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ। তিনি কুশপুতুলে গোবর জল মাখান।
বোলপুরেও এদিন ডাকবাংলো ময়দান থেকে মহিলা তৃণমূলের মিছিল শুরু হয়ে চৌরাস্তা মোড়ে শেষ হয়। হুড খোলা জিপে ওই মিছিলে নেতৃত্ব দেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রতবাবু। সেখানেও মিছিল ঘিরে বহু জমায়েত হয়েছিল। মিছিলের আগে সেখানেও রাস্তা স্যানিটাইজের কাজ করা হয়। দুবরাজপুরেও দলীয় অফিস থেকে মিছিল শুরু হয়ে আশ্রম মাঠে এসে শেষ হয়। সাঁইথিয়ায় শহর ও ব্লক তৃণমূলের তরফে কলেজের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে শেষ হয়। রামপুরহাটে এদিন মিছিলে নেতৃত্ব দেন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, বোলপুরের সংসদ সদস্য অসিত মাল প্রমুখ। রামপুরহাট-১ ব্লক ও শহর মহিলা তৃণমূলের উদ্যোগে মিছিল হয়। সেখানে দলীয় অফিস থেকে মিছিল শুরু হয়ে শহর ঘুরে পাঁচমাথা মোড়ে শেষ হয়। নলহাটিতে রামমন্দিরতলা থেকে মিছিল শুরু হয়ে গোটা শহর পরিক্রমা করে। সেখানেও স্যানিটাইজিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়। রামপুরহাটে মিছিলের আগে-আগে পিপিই কিট পরে কর্মীরা স্যানিটাইজার স্প্রে করেন।
এদিন বোলপুরে অনুব্রতবাবু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ভাইরাস তাড়ানো হল। গোটা রাজ্যে বিজেপি ভাইরাস নিয়ে এসেছে। এখানে পাঁচটা ভাইরাস রেখে দিয়েছে। তারা জেলায়-জেলায় ছুটছে বলে মহিলারা তা পরিষ্কার করলেন। বাংলার মানুষ যথেষ্ট সচেতন।
তৃণমূলের দাবি, বিজেপি নামক করোনা ভাইরাস সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে নষ্ট করার চেষ্টা করছে। গত বুধবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপবাবু সিউড়িতে এসে অনেক উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন। বিজেপি বীরভূমে এসে ভাইরাস ছড়িয়ে দিয়ে গিয়েছে। তাই বিজেপির ভাইরাসকে তাড়াতে জেলার মহিলাদের মাধ্যমে স্যানিটাইজ করানো হয়েছে। অভিজিতবাবু বলেন, রাজ্যকে অশান্ত করার চক্রান্তের প্রতিবাদে সিউড়ির মাঠে গোবর জল ছড়িয়ে ভাইরাস মুক্ত করেছেন মহিলারা।
বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, তৃণমূল এদিন নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিয়েছে। এতে লোক-হাসানো হয়েছে। তারা নিজেরাই করোনা আক্রান্ত। তাদের নানা দুষ্কর্মের স্যানিটাইজ মানুষই করবেন। সঠিক সময়ে বাংলার মানুষ তার জবাব দেবেন।