গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বিসি রোডের বেশকিছু দোকান বন্ধ থাকলেও এদিন বর্ধমান শহরের বেশিরভাগ দোকানই খোলা ছিল। ধর্মঘট ব্যর্থ করার ডাক দিয়ে এদিন তৃণমূলের পক্ষ থেকে শহরে মিছিলও করা হয়। ধর্মঘট সফল করতে বামেরাও মিছিল করে। শহরের পার্কাস রোডে সিপিএমের জেলা অফিস থেকে বামেদের মিছিলে নেতৃত্ব দেন রাজ্য কৃষক সভার সদস্য অমল হালদার। ওই মিছিল থেকে পার্কাস রোডে বাম সমর্থকরা বেশ কয়েকটি দোকান জোর করে বন্ধ করে দেন। পালসিটে ট্রেন এবং ২নং জাতীয় সড়কে প্রতীকী অবরোধ করেন বাম সমর্থকরা। বীরহাটা এলাকায় জোর করে যাত্রীবোঝাই বাস আটকানোর চেষ্টা করা হয়। সদর শহর সহ জেলার সরকারি অফিসগুলিতে প্রায় একশো শতাংশ হাজিরা ছিল।
এদিন সকালে সমুদ্রগড় স্টেশনে ট্রেন অবরোধ এবং এসটিকেকে রোডের সমুদ্রগড় রেলবাজার, গোয়ালপাড়া ও পারুলিয়া বাজারেও অবরোধ করেন বামেরা। পারুলিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল দাহ করা হয়। কাটোয় শহরে বিভিন্ন দোকানপাট বন্ধ থাকলেও সমস্ত সব্জির বাজার খোলা ছিল। তবে, কাটোয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে বেসরকারি বাস চলাচল করেনি। যাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হয়। কাটোয়া ২ ব্লকের সিঙ্গি মোড়ে রাস্তা অবরোধ করেন ধর্মঘটীরা। তাঁরা বর্ধমান-কাটোয়া রাস্তায় লরি ও অন্যান্য চারচাকা আটকানোর চেষ্টা করেন।
এদিন দুর্গাপুরে বিক্ষিপ্ত অশান্তি বাধে। স্টেশনে পুলিসের সঙ্গে বচসা বাধে ধর্মঘটীদের। দুর্গাপুর সিটি সেন্টার এলাকায় ধর্মঘটীরা সরকারি বাস চলতে বাধা দিতে গেলে উত্তেজনা ছড়ায়। সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত হয়ে উঠে দুর্গাপুরের ডিভিসি মোড়। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ বাম সমর্থকরা ২ নম্বর জাতীয় সড়কে জোর করে যান চলাচল বন্ধ করেন। অবরোধও করা হয়। গাড়ির চালকদের হুমকিও দেওয়া হয়। অবরোধ তুলতে গেলে ধর্মঘটীদের সঙ্গে পুলিসের খণ্ডযুদ্ধ বাধে। বাম সমর্থকরা জাতীয় সড়কে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। পুলিস লাঠিচার্জ করে। ধর্মঘটীদের টেনে গাড়িতে তুলে আটক করা হয়। সিপিএম নেতা পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, পুলিসের মারে বহু মহিলাকর্মীও আক্রান্ত হয়ছেন।
এদিনের ধর্মঘটে মিশ্র প্রভাব পড়েছে শিল্পাঞ্চলে। দুর্গাপুর, জামুড়িয়া ও রানিগঞ্জ বেসরকারি বাস প্রায় রাস্তায় নামেনি। আসানসোলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেসরকারি বাস কমে যায়। তবে, সাধারণ মানুষের জন্য পরিষেবা সচল ছিল এসবিএসটিসির টাউন সার্ভিস ও দূরপাল্লার বাস। বেনাচিতি বাজার প্রায় বন্ধ থাকলেও শহরের অন্যান্য জায়গায় দোকানপাট খোলা ছিল। বিভিন্ন বেসরকারি কারখানায় উপস্থিতি কম থাকলেও সরকারি জায়গায় উপস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। ইসিএলের দাবি, খনি অঞ্চলে অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক ছিল। হাজিরা ছিল ৯৮ শতাংশ। দুর্গাপুরে কিছুটা প্রভাব থাকলেও আসানসোলের জনজীবন অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল। ধর্মঘটের দিনেও আসানসোল শহরে ২৫ টাকা কেজি দরে সরকারি মূল্যে আলু কিনতে মানুষের লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, এদিন অফিসে ৯৫ শতাংশ হাজিরা ছিল। পুলিস কমিশনার সুকেশ কুমার জৈন বলেন, এদিন ৫৫ জন ধর্মঘট সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্ধমানের গলসিতে টায়ার জ্বালিয়ে ধর্মঘটীদের বিক্ষোভ। -নিজস্ব চিত্র