পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রানাঘাট মহকুমায় সকাল থেকেই বামপন্থী সংগঠন ও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মিছিল বের করা হয়। রানাঘাট শহর সকাল থেকে কার্যত ফাঁকা ছিল। ওইসময় দোকানপাট খোলেনি, যানবাহনও সেই অর্থে চলাচল করেনি। তবে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহরে কিছু দোকান খোলে। এছাড়াও রানাঘাট স্টেশন সংলগ্ন রথতলা রেল গেট এলাকায় বেলার দিকে ট্রেন অবরোধ করে ধর্মঘটীরা। কিছুক্ষণ অবরোধ চলার পর রেল পুলিসের তৎপরতায় অবরোধ ওঠে। রানাঘাটে জাতীয় সড়ক সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ড থেকেও এদিন মোট সাতটি রুটের একটি বাসও রাস্তায় নামেনি। এছাড়াও রানাঘাট মহকুমা আদালতের কাজকর্ম এদিন স্বাভাবিক থাকলেও সাধারণ বিচারপ্রার্থীদের উপস্থিতি কম ছিল। রানাঘাট মহকুমা আদালতের অ্যাডিশনাল পিপি অপূর্বকুমার ভদ্র বলেন, এই ধরনের কর্মনাশা বন্ধ মানুষ মানেন না। আদালতের কাজকর্ম স্বাভাবিক ছিল। এই মহকুমার রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা ও তাহেরপুর নোটিফাইড সিপিএমের দখলে রয়েছে। এই এলাকাগুলিতেও ধর্মঘটের ভালো প্রভাব পড়েছিল। তবে দক্ষিণ বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত কুপার্স ক্যাম্প নোটিফাইড এলাকায় তেমন প্রভাব পড়েনি। এছাড়াও শান্তিপুর শহরেও ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল বের করা হয়। কিছুক্ষণের জন্য সেখানে ট্রেন ও জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন ধর্মঘটীরা।
সাধারণ ধর্মঘটে তেহট্ট মহকুমায় মিশ্র প্রভাব পড়েছিল। এদিন সকালে তেহট্টের হাউলিয়া পার্ক মোড়ে কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন সমর্থকরা। পরে তেহট্ট থানার পুলিস গিয়ে অবরোধকারীদের হটিয়ে দেয়। বেশিরভাগ দোকান খোলা ছিল। তবে সেভাবে বাস চলাচল করেনি। অল্প সংখ্যক টোটো ও অটো চলাচল করেছে। একই চিত্র ছিল করিমপুরের। করিমপুর থেকে সমস্ত রুটের যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ ছিল। এদিন করিমপুরে সাপ্তাহিক বন্ধ থাকায় বেশির ভাগ দোকান বন্ধ ছিল। চায়ের দোকান সহ অন্যান্য দোকান খোলা ছিল। ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস বন্ধ ছিল। সকালে করিমপুর বাজার ও বেতাই বাজারে মিছিল করেন ধর্মঘটীরা। এছাড়া পলাশীপাড়ায় রাস্তা অবরোধ করা হয়। ধর্মঘটে আংশিক সাড়া পড়ে নবদ্বীপে। সকালের দিকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকলেও বেলা বাড়তেই স্বাভাবিক হতে শুরু করে পরিষেবা। ধর্মঘটের সমর্থনে নবদ্বীপ শহরে মিছিল বের হয়। এদিন সকাল ৮টা থেকে নবদ্বীপ ফেরিঘাট বন্ধ করে দেয় ধর্মঘটীরা। স্বরূপগঞ্জঘাট ও মায়াপুর ঘাটের সামনে রীতিমতো পিকেটিং করে। পরে নবদ্বীপ থানার পুলিসের হস্তক্ষেপে প্রায় দু’ঘণ্টা পর ফেরিঘাট চালু হয়। নবদ্বীপ পুরসভায় সকালের দিকে কাজকর্ম প্রতিদিনের মতোই স্বাভাবিক হয়েছে। বড় বাজার, আগমেশ্বরী বাজার, প্রাচীন মায়াপুর, তেঘরিপাড়া বাজার, চারিচারা বাজার খোলা ছিল। এদিন নবদ্বীপ বাসস্ট্যান্ড থেকে কোনও বেসরকারি বাস চলাচল করেনি। সিটুর রাজ্য সহ সভাপতি এস এম সাদি বলেন, নদীয়া জেলায় ধর্মঘট সর্বাত্মক ও সফল। বেসরকারি বাস, দোকানপাট পুরোপুরি বন্ধ ছিল। মানুষ এই দাবিগুলি যে ন্যায্য মনে করেছেন এদিন সেটাই প্রমাণ হল।