কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বাঁকুড়ার মতো পুরুলিয়া জেলাতেও বামেদের ডাকা ধর্মঘটে প্রায় একই ছবি ধরা পড়েছে। বেসরকারি বাস পথে না নামলেও জেলার বিভিন্ন রুটে সরকারি বাস চলাচল স্বাভাবিক ছিল। ঝাড়খণ্ড থেকে আসা একাধিক বাস পুরুলিয়া দিয়ে স্বাভাবিকভাবেই চলাচল করেছে। তবে পুরুলিয়া শহরের অধিকাংশ দোকান বাজার বন্ধ ছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের অফিস ও ব্যাঙ্কগুলিও বন্ধ ছিল। এদিন সকালে জেলার একাধিক জায়গায় মিছিল করে বামেরা। সিপিএমের পুরুলিয়া জেলা সম্পাদক প্রদীপ রায় বলেন, এদিনের ধর্মঘট সর্বাত্মক হয়েছে। শিল্পাঞ্চল এলাকাতেও ধর্মঘটের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। শুধুমাত্র আদ্রা ও কাশীপুরে প্রভাব কম ছিল।
আরামবাগ শহরেও ধর্মঘটের মিশ্র প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। আরামবাগ বাসস্ট্যান্ড থেকে এদিন কোনও বেসরকারি বাস চলাচল করেনি। তবে সরকারি বাস চলাচল ছিল স্বাভাবিক। সকাল ৬টা নাগাদ আরামবাগ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন সিপিএম কর্মী-সর্মথকরা। ঘণ্টা খানেক পর পুলিস অবরোধ তুলে দেয়। এছাড়াও ধর্মঘটীরা আরামবাগ রেলস্টেশনে বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখান। পরে তাঁরা শহরে একটি মিছিল করেন। কৃষিপ্রধান এই মহকুমার গ্রাম অঞ্চলে ধর্মঘটের প্রভাব তেমন লক্ষ্য করা যায়নি। সকাল থেকেই খানাকুল, পুরশুড়া, গোঘাট, আরামবাগ সহ বিভিন্ন এলাকার চাষিদের ধান কাটা ও আলু চাষের কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা গিয়েছে।
সিপিএমের আরামবাগ-১ এরিয়া কমিটির সম্পাদক পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় বলেন, সাধারণ মানুষ ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়েছে। তা সর্বাত্মক সফল হয়েছে। আরামবাগে এদিন ১১ জন সিপিএম কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস।