কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনের সাহায্যে ধান কাটার পর জমিতে খড়ের অবশিষ্টাংশ পড়ে থাকে। রবি চাষ শুরুর আগে জমি খালি করতে চাষিরা অনেক সময় খড়ের সেই অবশিষ্টাংশ জমিতেই আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেন। তার ফলে পরিবেশ দূষণ হয়। তাই জমিতে নাড়া পোড়ানো রুখতে চাষিদের আপাতত সচেতনতার পথেই এগিয়েছে কৃষিদপ্তর।
কৃষিদপ্তরের দাবি, জেলার প্রত্যেক ব্লকে নাড়া পোড়ানো রুখতে ব্যানার, হোর্ডিং ও মাইকিং করা হচ্ছে। তার সঙ্গে এক বিশেষ ধরনের ট্যাবলেট দেওয়া হচ্ছে। ওই ট্যাবলেটের মাধ্যমে অন্যান্য সামগ্রী ব্যবহার করে জমিতে স্প্রে করলে নাড়া পচে যায়। জেলায় সেই ট্যাবলেট ব্যবহারের পাশাপাশি স্ট্র-বেলার যন্ত্রের ব্যবহারেও জোর দিচ্ছে কৃষিদপ্তর।
কৃষিদপ্তরের দাবি, স্ট্র-বেলার যন্ত্রটি ট্রাক্টরের সাহায্যে চালানো হয়। ওই যন্ত্র জমিতে পড়ে থাকা নাড়া টেনে নিয়ে খড়ের গাঁট বাঁধবে। সেই গাঁট চাষিরা গো-খাদ্য হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন। বর্তমানে শ্রমিকের অভাবে চাষের কাজ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। চাষিদের দ্রুত কাজের জন্য তাই যন্ত্রের ব্যবহার নিয়ে কৃষিদপ্তর সচেতন করছে। এমন অবস্থায় নাড়া পোড়ানো রুখতে স্ট্র-বেলার যন্ত্রের জুড়ি মেলা ভার।
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ট্র-বেলার যন্ত্রটির দাম সাড়ে তিন-চার লক্ষ টাকা। এই যন্ত্রের সাহায্যে যাতে চাষিরা নিজেদের জমির নাড়া ফের ব্যবহারযোগ্য করতে পারেন সেই লক্ষ্যে কৃষিদপ্তর ইলামবাজার, সাঁইথিয়া, ময়ূরেশ্বর-২ ব্লকে বিশেষ প্রদর্শনী ক্ষেত্র গড়ে তুলেছে। সেখানে চাষিদের যন্ত্রের ব্যবহার দেখিয়ে তা কিনতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
কৃষিদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, জেলায় আপাতত এই মরশুমে ২০টি যন্ত্র বিক্রির টার্গেট রয়েছে। বড় চাষির কাছ থেকে তা ভাড়া নিয়ে ছোট চাষিরা যাতে নিজেদের জমিতে ব্যবহার করতে পারেন তার জন্য উৎসাহ ভাতা দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে এক একর জমিপিছু প্রায় দু’হাজার টাকা উৎসাহ ভাতা পাবেন। যন্ত্র পেতে চাষিরা সংশ্লিষ্ট ব্লক কৃষিদপ্তরে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন। ১৯টি ব্লকের চাষিরাই এই যন্ত্রের সুবিধা পাবেন। রবি মরশুম শুরু হওয়ার আগে যাতে জমিগুলিতে নাড়া না পড়ে থাকে সেজন্য যন্ত্র ব্যবহারের সুফল ব্লকে-ব্লকে বোঝানো হচ্ছে। ফাইল চিত্র