রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা পরিবহণ সংস্থার দাবি, তারাই রাজ্যের প্রথম পরিবহণ সংস্থা, যারা এধরনের চুক্তি করে নিজস্ব সিএনজি ফিলিং স্টেশন গড়ছে। দুর্গাপুরের বিসিরায় অ্যাভিনিউতে সংস্থার নিজস্ব ওয়ার্কশপে বিশাল এলাকাজুড়ে এটি গড়ে উঠছে। ‘বাস হল্ট ট্রানজিট হাবের’ মতোই এই উদ্যোগও সংস্থাকে অত্যাধুনিক পরিবহণ পরিষেবা দিতে বড় ভূমিকা নেবে বলেই ওয়াকিবহাল মহলের মত।
সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর গোদালা কিরণ কুমার বলেন, ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই সিএলজি ফিলিং স্টেশনের কাজ শেষ হয়ে যাবে। তখন থেকেই আমাদের সিএলজি বাসগুলি সেখানে গ্যাস নিয়ে পরিবহণের কাজে নিযুক্ত হবে। এটা অত্যন্ত বড় পদক্ষেপ। আগামী দিনে পরিবেশের কথা মাথায় রেখেই পরিবহণ সংস্থাগুলিকে এগতে হবে। আমরাই রাজ্যে প্রথম এধরনের ফিলিং স্টেশন গড়ছি।
বাম আমলে সংস্থার লাল বাসগুলির জীর্ণ দশা আর ব্যাপক আর্থিক বোঝা এসবিএসটিসিকে খাদের কিনারায় নিয়ে এসেছিল। সেখানে থেকে শুরু করে শুধু বাসের রং পাল্টে নীল সাদা হয়েছে তা নয়, সংস্থা এখন যে কোনও উন্নত বেসরকারি পরিবহণ সংস্থাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। দশকের পর দশক ঘাটতিতে চলা সংস্থা লাভের মুখ দেখেছে। এবার বিদেশের ধাঁচে উন্নত বাস পরিষেবা দিতেও বদ্ধপরিকর তারা। ভবিষ্যতে পরিবহণে সবচেয়ে বড় ‘ফ্যাক্টর’ হতে চলেছে বায়ু দূষণ। যেভাবে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতে সব গাড়িকে পরিবেশ বান্ধব যানে পরিবর্তন করতে হবে। তার প্রথম পদক্ষেপ এখন থেকেই শুরু করল রাজ্যের সবচেয়ে লাভজনক সরকারি পরিবহণ সংস্থা এসবিএসটিসি।
সিএনজি স্টেশনের উপর ভরসা নয়, সংস্থার নিজের ওয়ার্কশপেই গড়ে উঠছে বৃহৎ সিএনজি স্টেশন। সেখান থেকে গ্যাস ভর্তি করে পরিবেশ বান্ধব বাসগুলি বিভিন্ন রুটে যাতায়াত করবে। ডিসেম্বর থেকেই এই পরিষেবা চালু হবে। এছাড়া বিমানবন্দরের ধাঁচে সংস্থা গড়ে তুলেছে বাস হল্ট ট্রানজিট হাব। দূরপাল্লার বাসে যাত্রা করা যাত্রীদের ক্ষণিকের বিশ্রামের জন্য গড়ে উঠেছে বিদেশের ধাঁচে লবি, রেস্তরাঁ। ৩০ নভেম্বর তার উদ্বোধন হতে চলেছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার চেয়ারম্যান দীপ্তাংশু চৌধুরী।
পরিষেবা উন্নত করলে পুরস্কার পাওয়াটাও স্বাভাবিক। তারজন্যই ইতিমধ্যে স্কচ পুরস্কারের চূড়ান্ত পর্বের লড়াইয়ে পৌঁছে গিয়েছে সংস্থা। ডিসেম্বর মাসেই সংস্থার মাথায় যুক্ত হতে পারে নতুন পালক।