পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মঙ্গলবার গলসি ও বর্ধমান শহরে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লার দু’টি জনসভা ছিল। তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের ব্যানারে ওই সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভায় যোগ দেওয়ার আগে এদিন দুপুরে তিনি বর্ধমানে জেলার পুলিস সুপার এবং জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানেই এই অভিযোগগুলি করেন। মন্ত্রী বলেন, বিধায়ক তহবিলে পাঁচ বছরে তিন কোটি টাকা পাই। আমি সেই টাকায় উন্নয়ন করব বলে মঙ্গলকোটের নিগন, পশ্চিম মঙ্গলকোট এবং মাঝমাঝি এলাকায় তিনটি আধুনিক চুল্লি তৈরি করতে চেয়েছিলাম। এক একটির খরচ ধরা হয়েছিল ন’লক্ষ টাকা। কিন্তু, সেই কাজ আমাকে করতে দেওয়া হয়নি। সব টাকা ফেরত গিয়েছে। জেলাশাসককে জানিয়েছি, যেন উন্নয়নের কাজে কেউ বাধা দিতে না পারে, সেটা দেখতে হবে। সাধারণ মানুষের জন্য তিনটি অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছিলাম। সেইগুলির কোনও রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে না।
মন্ত্রী বলেন, মঙ্গলকোটে ২২টি বালিঘাট রয়েছে। কিন্তু, একটি ঘাটের চালান দেখিয়ে অন্যঘাট থেকে বালি উঠছে। আবার একটি চালান দেখিয়ে পিছনে পিছনে অন্য লরি চলে যাচ্ছে। ফলে, সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে। এটা বরদাস্থ করা হবে না। মুখ্যমন্ত্রীকে আমি জানিয়েছি। জেলাশাসক ও পুলিস সুপারকেও জানালাম। তিনি বলেন, আমার বিধানসভায় পুরনো তৃণমূল নেতা-কর্মীদের নামে গাঁজার মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। বিকাশ চৌধুরীর মতো পুরনো তৃণমূল নেতাদের ফাঁসানো হয়েছে। বিকাশ সহ ন’জনের একটি তালিকা আমি পুলিস সুপারের কাছে জমা দিয়েছে। এই ন’জনকেও মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। কোনও প্রমাণও পাওয়া যায়নি। পুলিসের সাক্ষীপর্ব বাকি রেখে তাঁদের হয়রান করা হচ্ছে।
সিদ্দিকুল্লা সাহেব বলেন, কে এইসব করছে তা তো আপনারা জানেন। তিনি অনুব্রত মণ্ডলের নাম না বলেন, বীরভূমে যিনি রয়েছেন, তিনি আমার রাজনৈতিক উপদেষ্টা বলে আমি মনে করি না। তাঁর কাছে আমার কিছু শেখার নেই। যা শেখার তা আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে শিখেছি। মঙ্গলকোটের ৯০ শতাংশ মানুষই তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছেন। কিন্তু, গত লোকসভা নির্বাচনে ১৩০টি বুথে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে। যদিও ওসব বুথে কেউ বিজেপি করেন না। ওখানকার লোকজন আমাকে বলেছেন, ওদের (অনুব্রত’র লোকজনের) অত্যাচারে বিজেপি করেছি। তাই এই জায়গায় দাঁড়িয়ে দলকে এবার ভাবতে হবে। মঙ্গলকোটকে ঢেলে সাজাতে হবে।
এব্যাপারে অনুব্রতবাবুকে ফোন করা হলে এক ব্যক্তি ফোন রিসিভ করে বলেন, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর ব্যাপারে উনি কোনও মন্তব্য করবেন না।