রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৬ অক্টোবর গোঘাটের চাঁদপুর এলাকার বাসিন্দা সুভাষ লাহা আরামবাগ থানায় নাতির অধিকার চেয়ে অভিযোগ জানান। তিনি বলেন, গত ২২ আগস্ট দেওয়াল চাপা পড়ে ছেলে শ্যামসুন্দর লাহার মৃত্যু হয়। তারপরই বউমা অর্পিতা লাহা বাপেরবাড়ি চলে যায়। সেই সময় বউমা আটমাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। বউমা কোনওভাবেই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চাইছিল না। ছেলের মৃত্যুর দু’সপ্তাহের মাথায় জানতে পারি, বউমা একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছে। সেই সন্তানের দাবি জানিয়েই থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়। তদন্তে নেমে জানা যায়, ওই বধূ আরামবাগের একটি নার্সিংহোমে পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। কিন্তু, তারপরই সেই সদ্যোজাতকে নিঃসন্তান এক দম্পতির হাতে তুলে দেওয়া হয়। যদিও কয়েকঘণ্টার মধ্যেই ওই সদ্যোজাতর মৃত্যু হয়। এরপরই তাকে ব্রিজ থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয় দ্বারকেশ্বর নদে। ওই ঘটনায় নিঃসন্তান দম্পতি ও বধূর এক আত্মীয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরামবাগের এসডিপিও অভিষেক মণ্ডল বলেন, গোঘাটের ওই বাসিন্দার অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়।
বধূর বাপেরবাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রামজীবনপুর থানা এলাকায়। সে পলাতক রয়েছে। ওই বধূর বাবা-মা ও ওই নার্সিংহোমের নামেও অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। এদিন স্পিডবোট নামিয়ে সদ্যোজাতের খোঁজ চালানো হলেও তার সন্ধান মেলেনি। নিজস্ব চিত্র