কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদে ৪৪টি জায়গায় টিকা রাখা হবে। সেই জায়গাগুলি ইতিমধ্যেই চিহ্নিত হয়েছে। বেশ কিছু এলাকা আধিকারিকরা পরিদর্শন করেছেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা ৪৪টি জায়গা চিহ্নিত করেছি। তবে টিকাকরণ কবে থেকে শুরু হবে সেই সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, টিকাকরণ কর্মসূচির জন্য দপ্তরের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কীভাবে প্রশিক্ষণ দিতে হবে সেই পাঠ নেওয়ার পর তাঁরা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কাজ শুরু করবেন। টিকাকরণ কর্মসূচি নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে জেলার আধিকারিকরা দফায় দফায় বৈঠক শুরু করেছেন।
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদ জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ১০০জনের বেশি রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে ন’হাজারের বেশি। যদিও আধিকারিকদের অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন আক্রান্তের সংখ্যা এই জেলায় অনেক বাড়বে। কারণ মুর্শিদাবাদে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল। মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে শ্রমিকরা এই জেলায় ফিরেছিলেন। সেই কারণে প্রথম দিকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। যদিও পরবর্তীকালে দেখা যায় মুর্শিদাবাদে সংক্রমণের সংখ্যা অন্যান্য জেলা থেকে অনেক কম। এক আধিকারিক বলেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হওয়ার জন্যই এই জেলা রক্ষা পেয়েছে। তা না হলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারত। এখন যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের বেশিরভাগই বাড়িতে থেকেই সুস্থ হয়ে উঠছেন। যাঁদের বয়স বেশি এবং উপসর্গ দেখা দিচ্ছে তাঁদেরকে কোভিড হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে। তাঁদের বেশিরভাগকেই অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে এই জেলায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বয়স্কদের মৃত্যু হয়েছে। অনেক বৃদ্ধ-বৃদ্ধা আবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, করোনা চিকিৎসার জন্য চারটি বেসরকারি হাসপাতাল অনেক আগেই বেছে নেওয়া হয়েছিল। সেইগুলিতে চিকিৎসাও চলছে। এছাড়া জেলার দু’টি সরকারি কোভিড হাসপাতাল রয়েছে। সেখানে বিনামূল্যে রোগীদের চিকিৎসা চলছে। তাই টিকা চলে এলে সেই পরিকাঠামো তৈরি করতেও বেশি সময় লাগবে না বলে দাবি আধিকারিকদের। তাঁরা বলেন, টিকা রাখার জন্য বিশেষ ধরনের বন্দোবস্ত করতে হবে। নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় তা রাখতে হবে বলে অনুমান করা যায়। যদিও সেই সব কিছুর গাইডলাইন এখনও আসেনি। তবে অন্যান্য কাজের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি অন্য জেলাগুলিতেও একইরকম তোড়জোড় শুরু হয়েছে। বহরমপুর শহরের এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, করোনা নিয়ে আতঙ্কে ভুগছি। সারা দেশেই আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। তবে টিকা আসছে বলে বেশ কিছুদিন ধরে শুনছি। সরকারি মহলেও তৎপরতা শুরু হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব টিকা পেলেই দুশ্চিন্তামুক্ত হওয়া যাবে। তবে প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা ও যাঁদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে চিহ্নিত করে আগে টিকা দেওয়া উচিত।