বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙা, রেজিনগর, শক্তিপুর, সাগরদিঘি, নবগ্রাম সহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক পরিমাণে সব্জি চাষ হয়। জেলায় সব মিলিয়ে প্রায় এক লক্ষ ২০হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়ে থাকে। তবে সকলেই উচ্চফলনশীল জাতের সব্জি চাষ করেন না। অনেকে স্থানীয় বীজ কিনে চাষ করেন। কেউ কেউ আবার বাড়িতেই বীজ তৈরি করেন। ইতিমধ্যেই চাষিরা উচ্চ ফলনশীল জাতের ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলো সহ বিভিন্ন ধরনের সব্জি চাষ করেছেন। অনেকেই আবেদনপত্র জমা দিতে শুরু করেছেন।
যদিও ভর্তুকির বিষয়টি অধিকাংশ চাষিরই জানা নেই বলে দাবি তাঁদের। এদিন জেলাশাসকের দপ্তরে এসেছিলেন হরিহরপাড়ার চাষি খালেক মিঞা। তিনি বলেন, বিষয়টি জানা ছিল না। আমাদের এলাকায় প্রচুর পরিমাণে সব্জি চাষ হয়। তবে সব জমিতে উচ্চফলনশীল সব্জি চাষ হয় না। এই ধরনের চাষ করতে খরচ বেশি হয়। কিন্তু ভর্তুকি পাওয়া গেলে চাষে উৎসাহ বাড়বে। জেলায় আগের তুলনায় সব্জি চাষ আরও বেড়েছে।
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে চাষিদের বিভিন্ন ধরনের রবিশস্যের বীজ দেওয়া হয়েছে। এখনও কোনও কোনও জায়গায় সেই কাজ চলছে। তবে এক্ষেত্রেও চাষিদের অভিযোগ, অনেকেই বিষয়টি জানতে পারেন না। যদিও কৃষিদপ্তরের দাবি, এলাকায় প্রচার করে বিভিন্ন ধরনের বীজ দেওয়া হয়। স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির বড় ভূমিকা থাকে। তারাও বিষয়টি চাষিদের জানান। উদ্যানপালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর বর্ষার সময় অতিবৃষ্টির জেরে সব্জি চাষ কিছুটা ধাক্কা খেয়েছিল। সেই কারণে সবকিছুর দাম বেড়ে যায়। কিন্তু শীতকালীন চাষ এখনও পর্যন্ত তেমন ক্ষতির মুখে পড়েনি। চলতি মরশুমেও যথেষ্ট পরিমাণ জমিতে চাষ হয়েছে। তাই আগামী দিনে বিভিন্ন ধরনের সব্জির দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে। চাষিদের অনেকেই জলদি জাতের বিভিন্ন ধরনের বীজ রোপণ করেছেন। সেইসব সব্জি উঠতে শুরু করেছে। এছাড়া জেলায় হাইব্রিড বা উচ্চ ফলনশীল জাতের সব্জি চাষও বাড়ছে। চাষিদের উৎসাহ দিতে এই ধরনের ভর্তুকির ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে আধিকারিকদের দাবি। যদিও চাষিরা বলছেন, এই সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা যাতে অধিকাংশ চাষি পেতে পারেন তার জন্য ব্যাপকভাবে প্রচার করা দরকার। সেটা হলে বহু চাষি উপকৃত হবেন।