গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
তমলুক পুরসভার ১০নম্বর ওয়ার্ডে মানিকতলা মোড় সংলগ্ন এলাকার ওই স্বর্ণবন্ধকী সংস্থার হেড অফিস মুম্বইয়ের আন্ধেরি। নন ব্যাঙ্কিং ফিনান্সিয়াল কোম্পানি হিসেবে ওই সংস্থা গোল্ড লোনের কারবার করে। ওই শাখায় মোট সাতজন স্টাফ আছেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নানাপ্রান্তের মানুষজন এখানে সোনা বন্ধক রেখে ঋণ নেন। কোম্পানির নিজস্ব অডিটর নির্দিষ্ট সময় অন্তর জমা থাকা সোনার উপর অডিট করেন। ২১অক্টোবর অডিট চলাকালীন সোনা ভর্তি একটি প্যাকেটের খোঁজ মেলেনি। ওই প্যাকেটের বিনিময়ে মোট ৬লক্ষ ৩৩হাজার ৬০৪টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছিল। প্যাকেটে থাকা সোনার মূল্য ৯ লক্ষাধিক টাকা।
সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, শাখা কিংবা ভল্ট কোনও একটি জায়গা থেকে ওই প্যাকেট হাপিস করা হয়েছে। সংস্থার কর্মী ছাড়া অন্য কারও পক্ষে ওই প্যাকেটের নাগাল পাওয়া সম্ভব নয়। এই অবস্থায় বিষয়টি গোচরে আসার পর প্রথমে সংস্থায় কর্মরত প্রত্যেক স্টাফকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এর সঙ্গে কেউ জড়িত কি না, সেটা জানার চেষ্টা হয়। সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হয়। কিন্তু, অভ্যন্তরীণ তদন্তে কোনও কিছু বের করা সম্ভব হয়নি। খোয়া যাওয়া প্যাকেটও উদ্ধার করা যায়নি। এই অবস্থায় সংস্থার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক অনিরুদ্ধবাবু থানায় এফআইআর করেন।
এফআইআরে সংস্থার পক্ষ থেকে তমলুক থানার পুলিসের কাছে আটজন কর্মীর নাম, পদ এবং এমপ্লয়িজ কোড দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই শাখার গোল্ড কাস্টডির নিরাপত্তা, সোনার গুণগত মান, প্রকৃত মূল্য, উপযুক্ত নথিপত্র, প্রভৃতি যাচাই করার জন্য ওই শাখায় একজন ম্যানেজার নিয়োগ করা হয়েছিল। তমলুক থানার এসআই সঞ্জীব দত্ত ওই ঘটনার তদন্তকারী অফিসার। তিনি সংস্থার অফিসের কর্মীদের নোটিস পাঠিয়ে থানায় তলব করেছেন। তাঁদের প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এখনও পর্যন্ত সোনাভর্তি প্যাকেটের খোঁজ মেলেনি।
সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্যাকেটের ভিতর মোট ৪০টি সোনার আইটেম ছিল। তিনটি চেন, ২৩টি রিং, পাঁচটি সোনার চুরি, একটি নেকলেস, একটি ব্রেসলেট এবং আরও দু’রকমের সাতটি আইটেম খোয়া গিয়েছে। সোনা ভর্তি প্যাকেট ভল্ট, নাকি সংস্থার অফিস, কোন জায়গা থেকে খোয়া গিয়েছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। পুলিস আপাতত স্টাফদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গোটা বিষয়টি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছে। তমলুকের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস বলেন, গোল্ড লোন সংস্থার অফিস থেকে সোনা খোয়া যাওয়ার ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।