পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ক্রেতারা আরও বলেন, আলু ও পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ হওয়া দরকার। তা না হলে একসময় দাম আরও বাড়বে। তাতে মধ্যবিত্তদের আরও বেকায়দায় পড়তে হবে। প্রশাসনিক আধিকারিকদের অবশ্য দাবি, সুফল বাংলা স্টল সহ বেশকিছু জায়গায় ২৫ টাকা কেজি দরে সরকার আলু বিক্রি করছে। আগামী দিনে এই স্টলের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
শনিবার থেকে মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ এবং ভগবানগোলা-১ ব্লকের কৃষক বাজার থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই দুই ব্লকের কৃষক বাজারে আলু কিনতে ক্রেতাদের ভিড় উপচে পড়ে। মাথাপিছু তিন কেজি করে আলু দেওয়া হয়। সরকারি নির্ধারিত মূল্যে আলু কিনতে ক্রেতাদের ভিড় হলেও করোনা-বিধি মেনে এবং দূরত্ব-বিধি বজায় রেখে ক্রেতাদের লাইনে দাঁড়িয়ে আলু নিতে দেখা যায়। বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত আলু দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, মাঝে খোলাবাজারে জ্যোতি আলু প্রতি কেজি ৩৮-৪০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল। দিন তিনেক আগে বাজার চড়তে শুরু করে। এখন মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন প্রান্তের বাজারে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজার থেকে প্রায় অর্ধেক দামে আলু পেয়ে খুশি ক্রেতারা।
ভগবানগোলা-১ ব্লকের বিডিও পুলককান্তি মজুমদার বলেন, ১৩০ কুইন্টাল জ্যোতি আলু মজুত রাখা হয়েছে। ট্রাক থেকে আলু আনলোড করার জন্য প্রথম দিন বিলি একটু দেরি করে শুরু হয়েছে। রবিবার থেকে সকাল ৮টায় আলু দেওয়া শুরু হবে। প্রতিদিন ১০০০জনকে আলু দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
শুধু ভগবানগোলা-১ ব্লকের মানুষেরাই নয়, অন্য ব্লকের বাসিন্দারা এলে তাঁদেরও আলু দেওয়া হবে। জিয়াগঞ্জের বাসিন্দা অনুপ দাস বলেন, আমাদের মতো নিম্নবিত্ত মানুষের পক্ষে ৪৫ টাকা কেজি দরে আলু কেনা একপ্রকার অসম্ভব। বহরমপুর সহ অন্যান্য ব্লকে ২৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি চালু হলেও আমরা বঞ্চিত ছিলাম। অবশেষে এখানে শুরু হওয়ায় স্বস্তি ফিরে এল। মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ ব্লক সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম দিনেই প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষকে ২৫ টাকা কেজি দরে আলু দেওয়া হয়েছে।