পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
করোনা পরিস্থিতির জেরে দু’দফায় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সবরকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে গত ২৪ আগস্ট সর্বসাধারণের জন্য মন্দির খুলে দেওয়া হয়। কিছুদিন পর থেকেই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করে বামাখ্যাপার সাধনস্থল। করোনাকে উপেক্ষা করেই ভক্তরা আসতে শুরু করেন। ট্রেন বন্ধ থাকলেও বহু মানুষ প্রাইভেট কারেই তীর্থভূমিতে আসা-যাওয়া শুরু করেন। আবির্ভাব তিথিতেও ভালো ভক্ত সমাগম হয়। চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে এদিন ভোরে মাকে গর্ভগৃহ থেকে বের করে বিশ্রাম মন্দিরে আনা হয়। সেখানে তাঁকে ছোট বোন মা মুলুটি মায়ের মন্দিরের দিকে মুখ করিয়ে বসানো হয়। সেই সময় একদিকে বাজনা, অন্যদিকে জয় তারা ধ্বনিতে গোটা মন্দির চত্বর মুখরিত হয়ে ওঠে। এদিন ভক্তরা মাকে স্পর্শ করে পুজো দিতে পারেন। তাই সংক্রমণের আশঙ্কাকে উপেক্ষা করেই সকাল থেকে ভক্তরা ভিড় জমান। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মন্দির চত্বরে ভিড়ও বাড়তে থাকে। কলকাতা থেকে পরিবার নিয়ে এদিন তারাপীঠ এসেছিলেন সুরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার আশায় ছিলাম। কিন্তু ট্রেন না চললেও থাকতে পারলাম না। মায়ের নাম নিয়ে আবির্ভাব তিথিতে পুজো নিবেদন করতে গাড়ি ভাড়া করে চলে এলাম। মা-ই রক্ষা করবেন। করোনা আক্রান্ত হলে তিনিই সুস্থ করে তুলবেন। এদিন মুখে মাস্ক ছিল অনেকেরই। অনেকে আবার সেটিকে ঠোঁটের নীচে ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। মানা হয়নি সামাজিক দূরত্ববিধিও। গা ঘেঁষাঘেঁষি করেই চলে পুজো নিবেদন। যদিও মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে বারবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য মাইকে ঘোষণা করা হয়। কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় ও সম্পাদক ধ্রুব চট্টোপাধ্যায় বলেন, এদিন সকাল থেকে ভিড় কম থাকলেও বেলা যত গড়িয়েছে, স্থানীয় ও বহিরাগত ভক্তদের ভিড় তত বেড়েছে।
তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকলে মানুষের ভিড় আরও বাড়ত। দূর থেকে যাঁরা এসেছেন, তাঁরা মায়ের টানেই গাড়ি করে এসেছেন। অনেকের ইচ্ছে থাকলেও আসতে পারেননি। তাঁরা নিজের নিজের সেবাইতকে ফোন করে নাম-গোত্র ধরে পুজো দিয়েছেন। ডাকযোগে তাঁদের কাছে পুষ্প ও প্রসাদ পাঠিয়ে দেওয়া হবে।তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ভাইস চেয়ারম্যান সুকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, গেটে মাস্ক ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু অনেকে ভিতরে ঢুকে মাস্ক খুলে ফেলছেন। নজর আসা মাত্রই তাঁদের সতর্ক করেছেন নিরাপত্তাকর্মীরা। আর যাঁরা গা ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তাঁরা একই পরিবারের সদস্য।