পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গ্রামের বাসিন্দা তথা পুজোর অন্যতম কর্মকর্তা সৌমেন দাস বলেন, গঙ্গাজলঘাঁটি থানার পিড়রাবনী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অধিকাংশ গ্রামই জঙ্গল ঘেরা। মাঝেমধ্যেই জঙ্গল থেকে হাতি এসে বাড়িঘর ও ফসল নষ্ট করে দিয়ে চলে যেত। পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে শুনেছি, হাতির তাণ্ডব থেকে রক্ষা পেতে এই গ্রামের কোনও এক পরিবার প্রথম লক্ষ্মীপুজোর দিন গজলক্ষ্মীর আরাধনা করেছিলেন। পরে এই পুজো সর্বজনীন হয়ে ওঠে।
গ্রামে স্থায়ী মন্দির তৈরি হয়েছে। দুর্গাপুজোর পর থেকেই পুরোদমে গজলক্ষ্মীর পুজো প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো হলেও এই পুজো ঘিরে আশেপাশের ১০-১২টি গ্রামের মানুষের মধ্যে উন্মাদনা লক্ষ্য করা যায়। বড়জুড়ি, পিড়রাবনী, দান্দুলিয়া, তেঁতুলডাঙা, রাজবাঁধ গ্রামের মানুষজন এখানে পুজো দেখতে ভিড় করেন।
পুজো কমিটির সদস্য প্রদীপ শীট বলেন, এখানে মা লক্ষ্মী হাতি পিঠে অধিষ্ঠান করেন। প্রতিবছরই দু’দিন ধরে আমাদের পুজো চলে। তিনদিনের দিন প্রতিমা বিসর্জন হয়। বিসর্জনের দিন দুপুরে গজলক্ষ্মীকে বিদায় জানানোর পর গ্রামের মানুষ একসঙ্গে দুপুরের খাবার খান। কিন্তু, করোনার জন্য এবার খাওয়া দাওয়া হচ্ছে না। মায়ের মাহাত্ম্য কি না জানি না, তবে বেশ কয়েক বছর ধরে আশেপাশের গ্রামে হাতির দল এসে তাণ্ডব চালালেও আমাদের গ্রামে হাতির দল আসেনি। পূর্বপুরুষদের রীতি মেনেই শুক্রবার সকাল থেকে পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। মন্দির ও সংলগ্ন এলাকা আলোয় সাজিয়ে তোলা হয়েছে।