বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন ব্লকের সাতটি পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি ও দলীয় কর্মীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। সকলের জন্য মিষ্টিমুখের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ব্লক সভাপতি নবকুমার করের কাছে কর্মীদের উপস্থিতির পরিসংখ্যান চান স্বপনবাবু। এলাকায় কর্মীদের জনসংযোগের বিষয় নিয়ে এদিন ক্ষোভপ্রকাশ করেন মন্ত্রী। জন প্রতিনিধি ও যুবশক্তিদের ১৮ নভেম্বরের মধ্যে জনসংযোগ শেষ করে রিপোর্ট জমা দিতে বলেন।
স্বপনবাবু বলেন, প্রতিনিধিদের অনেকে জনসংযোগে যাচ্ছেন না। তাঁদের উপর নজরদারির জন্য লোক রাখা আছে। কে, কোথায়, কোন দোকানে বসে আড্ডা মারছেন, সেই ছবি চলে আসছে আমার কাছে। বিজয়া করতে বাড়িতে বাড়িতে যান। উন্নয়ন নিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলুন। তাঁদের কথা শুনুন। দায়িত্ব পালন না করলে কাজ থেকে বসিয়ে দেব। তখন চুপ করে ঘরে বসে থাকা ছাড়া উপায় থাকবে না। দলকে জেতাতে না পারলে পঞ্চায়েতের প্রধান পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হবে। দলকে জেতাতে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে নির্দেশ দিয়েছেন, সেই শপথ নিয়ে আমাদের এগিয়ে চলতে হবে।
কর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়ের সময় মন্ত্রী বলেন, এবারের দুর্গাপুজোয় নাদনঘাট থানা এলাকার ২২২টি পুজো কমিটিকে সরকারি অনুদানের ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে আমিও বেশ কিছু কমিটিকে ১০ হাজার টাকা করে দিয়েছি। কিন্তু এমন পুজো কমিটিও আছে, যারা সরকারি অনুদানের টাকা পেয়েও মণ্ডপের সামনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি টাঙায়নি। তাদের কি কোনও কৃতজ্ঞতাবোধও নেই? আবার এইসব পুজো কমিটির জন্য আমাদের দলীয় কর্মীরা বেশি তদারকি করেছিলেন। ভাবতেই যেন কেমন লাগছে।