কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কিরণ কালিন্দী বলেন, গ্রামে পানীয় জলের ব্যবস্থা থাকলেও পরিস্রুত পানীয় জলের তেমন কোনও সংস্থান ছিল না। শুধু মাত্র আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ লোকজন পরিস্রুত পানীয় জল দোকান থেকে কিনে খেতে পারতেন। শহর এলাকা সহ গ্রামের দিকেও অনেকে বহু টাকা খরচ করে আরও এবং ইউভি প্রযুক্তির ফিল্টার মেশিন কিনে বাড়িতে লাগান। কিন্তু, সবার পক্ষে তা সম্ভব হয় না। সাধারণ মানুষকে ওই ধরনের পরিস্রুত পানীয় জল নামমাত্র মূল্যে তুলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সুইসা গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যা শুক্লা মুখোপাধ্যায় এবং সপা সংসদের সদস্য সুজয় কুইরি এই প্রকল্পের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। পুজোর মরশুম শেষ হলেই পরিষেবা দেওয়া শুরু করা হবে।
ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক সন্দীপ হালদার বলেন, এবিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতে বিস্তারিত আলোচনা হবে। তবে আপাতত ঠিক হয়েছে, ওই দু’টি জায়গার প্ল্যান্টের দায়িত্ব কোনও স্বনির্ভর দল বা কোনও পরিচালন কমিটি তৈরি করে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে দু’টি প্ল্যান্টের জন্য ১০০টি করে ২০ লিটারের জার অর্ডার দেওয়া হয়েছে। যে কেউ এখানে এসে নামমাত্র মূল্য দিয়ে জল নিয়ে যেতে পারবেন। প্ল্যান্ট পরিচালনার খরচ টুকুই নেওয়া হবে। একই সঙ্গে বাড়িতে বাড়িতে ওই জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হবে।
সন্দীপবাবু আরও জানান, ওই প্ল্যান্টের কাছে কোনও সরকারি প্রতিষ্ঠান বা স্কুল থাকলে তাদের পরিস্রুত পানীয় জল বিনামূল্যে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ঝালদা মহকুমা এলাকায় এধরনের প্রকল্প এই প্রথম বলে জানান পঞ্চায়েতের আধিকারিকরা।
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, দীপাবলির পর অফিস খুললেই এই প্রকল্পের সূচনা হবে। এই প্রকল্পকে পুজোর উপহার বলেই মানছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা এনিয়ে খুবই খুশি হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা তথা কলেজ ছাত্র বিপদতারণ কুইরি বলেন, পরিস্রুত পানীয় জল অনেকেই দোকান থেকে বেশি দামে কিনতে বাধ্য হন। গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে খুব কম দামে পরিস্রুত পানীয় জল পেলে এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন। সাধারণ পরিবারের পক্ষ থেকে তো আর দোকান থেকে পরিস্রুত পানীয় জল বেশি দামে কেনা সম্ভব নয়। তাছাড়া বাড়িতে দামি ফিল্টার বসানোও সবার পক্ষে সম্ভব নয়। পঞ্চায়েত কম টাকায় পানীয় জল দিলে খুবই উপকার হবে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পঞ্চায়েতের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তবে কয়েকটি গ্রামে টিউবওয়েলের সমস্যা রয়েছে। সেগুলিরও দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।
ঝালদার মহকুমা শাসক সুশান্ত কুমার ভক্ত বলেন, এই মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষের জলের সমস্যা মেটাতে একাধিক নতুন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। অযোধ্যা পাহাড়ের গ্রামগুলিতেও পানীয় জল সরবরাহের জন্য জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের পক্ষ থেকে মার্বেল লেকের জল ব্যবহার করা হবে। তুনতুড়ি সুইসা গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই জল প্রকল্পের ফলে এলাকার মানুষের সুবিধা হবে।