বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামে ২২টি পাড়া রয়েছে। প্রায় হাজার দশেক বাসিন্দা বসবাস করেন। গ্রামের জগদ্ধাত্রী পুজো প্রায় ২৫০বছরের প্রাচীন। প্রাচীন পুজোগুলির সঙ্গে প্রতি বছর নতুন পুজোর সংখ্যাও বাড়ছে। গতবছর উত্তরমাঝি পাড়া এলাকায় একটি নতুন পুজো হয়। এবছর তার সঙ্গে রায় মাঝিপাড়াতেও নতুন একটি পুজো হবে বলে জানা গিয়েছে। সেই হিসেবে গ্রামে এবছর মোট ২৪টি পুজো হওয়ার কথা। বাসিন্দারা জানান, চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী চারদিনের বদলে এই গ্রামে একদিনেই পাঁচটি পর্ব ভাগ করে পুজো হয়। একদিনে ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত পর্ব ভাগ করে দেবীর পুজো হয়। বিসর্জন হয় পরের দিন দুপুরে।
পুজোয় গ্রামে লক্ষাধিক দর্শনার্থীর সমাগম হয় বলে পুজো উদ্যোক্তারা জানান। রাতভর অধিকাংশ মণ্ডপে চলে বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আতসবাজি পোড়ানো হয়। বিভিন্ন নামী শিল্পী, চলচ্চিত্র অভিনেতা-অভিনেত্রী, সাহিত্যিক গ্রামে আসেন। গোটা গ্রাম আলোকসজ্জায় সাজানো হয়। ভিড় সামাল দিতে প্রচুর পুলিস ও সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হয়।
এদিন দুপুরে গ্রামের পুজো কমিটির কর্তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসেন। সেখানে ঠিক করা হয়, এবছর রাজ্য সরকারের করোনা বিধি মেনে পুজো করা হবে। প্রত্যেক পুজো মণ্ডপে স্যানিটাইজার ও মাস্ক মজুত রাখা হবে। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা বাধ্যতামূলক করা হবে। এছাড়া সব রকমের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। সেলিব্রিটিদেরও আনা হবে না। পুজোয় বিভিন্ন বাজনার দলের পরিবর্তে শুধুমাত্র ঢাকের বাজনা রাখা হবে। তবে গোটা বিষয়টি প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গ্রামের বাবুপাড়া পুজো কমিটির সদস্য দীপ্তিমান দত্ত বলেন, পুজো বন্ধ করা যায় না। তাই এবছর আমরা রাজ্য সরকারের ঘোষিত নির্দেশিকা মেনে পুজো চালিয়ে যাব বলে ঠিক করেছি। মধ্য পশ্চিমপাড়া পুজো কমিটির সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, আজ আলোচনায় আমরা মোটামুটি একটি পুজোর রূপরেখা ঠিক করেছি। এবার কোনওরকম জাঁকজমক হবে না। সবরকম অনুষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠক হবে। সেখানে আমরা এদিনের সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরব। তবে করোনা সংক্রমণ রুখতে পুজো কমিটিগুলি সব ধরনের উদ্যোগ নেবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, জগদ্ধাত্রী পুজোয় আমরা আনন্দে মেতে উঠি। সব বাড়িতেই আত্মীয় সমাগম হয়। গ্রামে ব্যাপক ভিড় হয়। তবে এবার করোনার কারণে কিছুটা বিধিনিষেধ থাকা উচিত। ভিড় এড়াতে পারলেই করোনা রোখা সম্ভব হবে। আগামী বছর আশা করি সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।