কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
নদীয়া জেলার সদর শহর কৃষ্ণনগর। কিন্তু শহরের কোথাও এতদিন পার্কিং লট ছিল না। এমনিতেই শহরের রাস্তা সঙ্কীর্ণ। তার উপর দোকানের সামনের রাস্তায় যত্রতত্র বাইক বা গাড়ি রাখার জন্য সমস্যা আরও বাড়ে। এই কারণে নিত্যদিন শহরে যানজটে নাভিশ্বাস ওঠে সাধারণ মানুষের। দুর্গাপুজো থেকে টানা জগদ্ধাত্রী পুজো অবধি কেনাকাটার জন্য শহরে বহু মানুষ ভিড় জমান। কিন্তু পার্কিং সমস্যায় পড়তে হয় সকলকেই। বহুবার শহরবাসী পার্কিং লটের জোরালো দাবি তুলেছিলেন। তাঁদের দাবি ছিল, শহরের প্রাণকেন্দ্রের আশেপাশে কোথাও একটি পার্কিং জোন বা আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং লট করা উচিত। শহরের ব্যবসায়ীরাও পার্কিং লটের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সরব হয়েছিলেন। পার্কিং সমস্যার জেরে বহু ক্রেতাকে ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। অনেকে গাড়ি রাখতে না পেরে কিছু বাজারেই ঢোকেন না।
কৃষ্ণনগর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য অসীম সাহা বলেন, শহরের করিমপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে পার্কিং লট গড়ে তোলা হয়েছে। আমরা যতটা দ্রুত সম্ভব এই পার্কিং লট চালু করার চেষ্টা করছি। আশা করছি দশ থেকে পনেরো দিনের মধ্যে চালু হয়ে যাবে। পরবর্তীকালে প্রয়োজন হলে গাড়ি রাখার জায়গা আরও বাড়ানো হবে। শহরের বউবাজার, স্টেশন রোড, হাইস্ট্রিট রোড, পোস্ট অফিস মোড়ে বহু দোকান রয়েছে। পুজো শুরু হতেই প্রত্যেক বছর এই সব জায়গায় প্রচুর মানুষের ভিড় হয়। কিন্তু পার্কিং সমস্যায় ভুগতে হয় সকলকেই। শহরের মধ্যে যে কয়েকটি শপিং মল রয়েছে, সেখানেও একই সমস্যা দেখা যায়। তাই নির্দিষ্ট পার্কিং জোন করার জন্য বহুদিন ধরেই শহরের বাসিন্দারা দাবি তুলেছেন। কারণ বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকা থেকেও পুজোর সময় এই শহরে অনেকে বাজার করতে আসেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে গাড়ি নিয়ে আসেন। ওইসময় টোটো চলাচলও অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই যানজট সমস্যা থেকে কোনওভাবেই মুক্ত করা যাচ্ছিল না শহরকে। কারণ তা সামলানোর কোনও পরিকাঠামোই তৈরি হয়নি। ফলে রাস্তার পাশেই গাড়ি রাখতে হয়। শহরের বাসিন্দা চাকরিজীবী মৈনাক দত্ত, আইনজীবী তথাগত বিশ্বাস বলেন, এতদিনের পুরনো শহর হলেও একটি পার্কিং লট ছিল না। এটা সত্যিই খুব সমস্যার ব্যাপার। পার্কিং সমস্যার জন্য অনেকেই গাড়ি নিয়ে আসতে চান না। অনেকের ইচ্ছা থাকলে বহু দোকানে যেতে পারেন না। চারিদিকে বাইক ও গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকায় শহরের সৌন্দর্যও নষ্ট হচ্ছে। অবশেষে এই সমস্যার একটা স্থায়ী সমাধান হচ্ছে শুনে সত্যিই ভালো লাগছে। এটা আমাদের কাছে অনেক বড় উপহার। নিজস্ব চিত্র