উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
পুজোর আগেই বহরমপুরে সুফল বাংলা স্টল চালু করা হয়েছে। সেখানে বাজারের থেকে অনেক কম দামে আলু, পেঁয়াজ সহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দাবি, ইতিমধ্যে এই স্টল ঘিরে যথেষ্ট সাড়া পড়েছে। শহরের বিভিন্ন প্রান্তের বাসিন্দারা খাদ্য সামগ্রী কিনতে ভিড় করছেন। চালু হওয়ার দিন থেকেই ক্রেতারা আসছেন।
অতিরিক্ত জেলাশাসক(জেলা পরিষদ) সুদীপ্ত পোড়েল বলেন, ওই তিনটি স্টল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে। লালগোলা এবং জঙ্গিপুরের স্টলের নির্মাণকাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। কান্দির কাজও দ্রুত শুরু হবে।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন জেলার বাসিন্দাদের ন্যায্য মূল্যে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিতে রাজ্য সরকার সুফল বাংলা স্টল তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিভিন্ন জেলায় তা চালু হয়ে গিয়েছে। চাষিদের থেকে বিভিন্ন ধরনের শাক-সব্জি কিনে সরাসরি ক্রেতাদের বিক্রি করা হচ্ছে। তার ফলে ফড়েরাজ অনেকটাই বন্ধ করা সম্ভব হবে। তাঁদের মতে, ফড়েদের জন্যই বাজারে শাক-সব্জির দাম বেড়ে যাচ্ছে। তারা বিভিন্ন সময়ে নিজেদের প্রয়োজন মতো দাম ঠিক করে। অনেক সময়ই চাষিরা ন্যায্য দাম পান না। কিন্তু সুফল বাংলা স্টল প্রতিটি জেলাতেই বেশি সংখ্যায় চালু হয়ে গেলে চাষিরাও লাভবান হবেন।
মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সব্জি চাষ হয়। তা সত্ত্বেও এখানকার বাজারগুলিতে শাক-সব্জির দাম অন্যান্য জেলার থেকে কোন অংশে কম নয়। ফড়েরা চাষিদের থেকে অনেক কম দামে সব্জি কিনে বাজারে বেশি দামে বিক্রি করছে। উৎসবের মরশুমে সমস্ত কিছুর দাম বেশি থাকায় মধ্যবিত্তের মাথায় হাত পড়েছে। তবে বহরমপুরের সুফল বাংলা স্টলে গিয়ে ক্রেতাদের অনেকটাই স্বস্তি মিলছে। বাজারের ৩৫টাকা কেজি দরের আলু সেখানে ২৫টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। একইভাবে অন্যান্য আনাজপাতিও অনেকটাই কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। ওই তিন শহরেও সুফল বাংলা স্টলগুলি চালু হয়ে গেলে সেখানকার বাসিন্দারাও কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন বলেই প্রশাসনিক অধিকারিকরা মনে করছেন।
উৎসবের মরশুমে জেলার বেশ কিছু জায়গায় এগ্রি মার্কেটিং দপ্তর কম দামে আলু বিক্রি করেছে। জেলার বাসিন্দারা বলেন, এই ধরনের উদ্যোগে সকলেই উপকৃত হবেন।