উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
মুর্শিদাবাদ জেলার সদর শহর বহরমপুর। জেলার প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক, ব্যবসা-বাণিজ্যের মূল কেন্দ্র বহরমপুর। প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষাধিক মানুষ বহরমপুরে আসেন। লালবাগ মহকুমার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন কাজের জন্য প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ বহরমপুরে আসেন। কাজ শেষে ফিরেও যান। একইসঙ্গে নবাবি তালুক মুর্শিদাবাদ শহরের স্থাপত্য নিদর্শনগুলি দেখার জন্য সারা বছর ধরেই দেশ-বিদেশের পর্যটকরা মুর্শিদাবাদে আসেন। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পর্যটকরা বহরমপুর-লালবাগ সড়কপথে অটোয় যাতায়াত করেন। বছর তিনেক আগে পর্যন্ত বহরমপুর-লালবাগ রুটে অল্প কয়েকটি পাঁচ আসনের অটো চলাচল করত। তাই সীমিত আসন সংখ্যার ছোট অটোর কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পর্যটকরা সমস্যায় পড়তেন। সমস্যা সমাধানে রাজ্য সরকারের গতিধারা প্রকল্প ত্রাতার ভূমিকা নেয়। ধাপে ধাপে দেড় শতাধিক বেকার যুবককে সহজ শর্তে কিস্তিতে অটো দেওয়া হয়।
ওই প্রকল্পে অটো পাওয়া বিরাজ শেখ বলেন, আগে অন্যের অটো দৈনিক ভাড়ায় চালাতাম। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অটো চালিয়ে যে রোজগার হতো তার ৮০শতাংশ টাকা পেট্রল কিনতে এবং অটোর মালিকের ভাড়া মেটাতেই চলে যেত। সবকিছু মিটিয়ে দিনের শেষে যে টাকা হাতে থাকত তা দিয়ে পরিবারের সবার মুখে দু’বেলা দু’-মুঠো অন্ন তুলে দিতে পারতাম না। কোনও কারণে পরিবারের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়স্বজনের কাছে হাত পাততে হতো। কিন্তু গতিধারা প্রকল্পে সহজ কিস্তিতে অটো পাওয়ার পর থেকেই সংসারের হাল ফিরতে শুরু করে। দিনের শেষে সব খরচ বাদেও হাতে কিছু টাকা থাকছিল। সেটা দিয়ে অটোর মাসিক কিস্তি, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা এবং অন্যান্য খরচ সামাল দিতাম। অটোচালক আর এক যুবক সেলিম শেখ বলেন, লকডাউনে আড়াই মাস হাত গুটিয়ে বাড়িতে বসেছিলাম। আনলক পর্বে সব কিছু ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও মুর্শিদাবাদ পর্যটক শূন্য হয়ে রয়েছে। ফলে আমাদের ভাগ্যের চাকা ঘোরেনি। কোনও কোনও সময় যাত্রী সংখ্যা এতটাই কম হয় যে তেলের টাকা জোগাড় হয় না। তবুও পেট চালাতে গাড়ি নিয়ে পথে নামছি।
লালবাগ অটো ইউনিয়নের সভাপতি জামাত আলি বলেন, গতিধারা প্রকল্পে বহরমপুর-লালবাগ রুটের দেড় শতাধিক অটো চলছে। আগে সকলেই ভাড়ার গাড়ি চালালেও গত দু’বছর ধরে গতিধারা প্রকল্পের নিজেদের অটো চালাচ্ছেন। লকডাউন থেকে সকলেই খুব সমস্যায় রয়েছেন।