উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
করোনা আবহ উপেক্ষা করে রামপুরহাট শহরে পুজোর বেশ কিছুদিন আগে থেকেই কেনাকাটার ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। পুজোর দিনগুলিতেও মণ্ডপ ও প্রতিমা দর্শনে রাস্তায় হাজার-হাজার মানুষের ঢল নেমেছিল। সামাজিক দুরত্ব-বিধি বজায় রাখা তো দূরের কথা, বহু মানুষের মুখে মাস্কই ছিল না। ফলে, সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রবল। স্বাস্থ্যদপ্তরের পক্ষ থেকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা করা হলেও সাধারণ মানুষ সেভাবে আগ্রহ দেখাননি। অথচ মণ্ডপমুখী জনস্রোতে অনেকেই করোনার বাহক হয়ে থাকতে পারেন, আবার তাঁর থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে অনেকে সংক্রামিত হয়ে থাকতে পারেন। তাই শহরে করোনা আক্রান্তদের চিহ্নিত করতে এবার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে পুরসভা।
প্রশাসক বোর্ডের সদস্য বলেন, কয়েকমাস আগে থেকেই এই রোগ ঠেকাতে পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি-বাড়ি সমীক্ষার কাজ করছেন। তাতে কোন বাড়ির লোকজনের কী কী অসুখ রয়েছে, তার একটি নথি তৈরি করা হচ্ছে। তাঁদের কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে ওই রোগীর অন্য অসুখের ব্যাপারেও জানা সম্ভব হচ্ছে। এছাড়া কারও উপসর্গ থাকলে তাঁকে করোনা পরীক্ষার জন্য উৎসাহিত করছেন তাঁরা। সেক্ষেত্রে পুরসভার ‘নবারুণ’ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু, সংক্রমণের আশঙ্কায় অনেকেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে করোনা পরীক্ষা করাতে ইচ্ছা প্রকাশ করছেন না। তাই এবার ওয়ার্ডভিত্তিক করোনা পরীক্ষার ক্যাম্প করা হবে। আগ্রহী নাগরিকরা সেখানে নিজেদের ইচ্ছায় অ্যান্টিজেন টেস্ট করাতে পারবেন। কেউ পজিটিভ হলে হোম আইসোলেশনে থাকার জন্য বলা হবে। যদি বাড়িতে আলাদা করে থাকার পরিকাঠামো না থাকে তাহলে সেফ হোমে পাঠানো হবে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত শহরে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩১০ জন। তার মধ্যে গত ১৫ অক্টোবর থেকে এখনও পর্যন্ত শহরে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৬০ জন। পুরসভার এক কর্তার দাবি, যেভাবে পুজোর ক’টা দিন মানুষ রাস্তায় বেরিয়েছিলেন, তাতে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে। তাই যাঁরা অজান্তেই করোনার বাহক হয়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে চলেছেন তাঁদের চিহ্নিত করতেই পুরসভার এই উদ্যোগ। ওয়ার্ডের জনবহুল মোড়, স্থানীয় ক্লাব অথবা কমিউনিটি সেন্টারে এই পরীক্ষা করা হতে পারে। মীনাক্ষীদেবী বলেন, বেশি সংখ্যক পরীক্ষা করা হলে আক্রান্তদের চিহ্নিত করা সহজ হবে। সেক্ষেত্রে সংক্রমণ ছড়ানোর রাস্তা যেমন আটকানো যাবে, তেমনই দ্রুত চিকিৎসার সাহায্যে রোগীকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব হবে।
পুরসভার দাবি, অনেক বাসিন্দার মধ্যেই এই রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠায় কিছুটা হলেও করোনা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। তবে, দূরত্ব-বিধি এবং অন্যান্য নিয়ম সবাইকে মানতে হবে। তাই সচেতনতা বাড়াতে ক্যাম্প থেকে মাস্ক বিলি করবে পুরসভা।