উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
ময়ূরেশ্বর-তারাপীঠ রাস্তার দু’ধারে সোনাঝুরি, ইউক্যালিপ্টাস সহ কয়েকহাজার গাছ রয়েছে। এর মধ্যে কোন কোনও গাছ আবার প্রাচীন। অফিসগুলিতে পুজোর ছুটি পড়তেই কে বা কারা মেশিন দিয়ে গাছ কেটে বিক্রির জন্য মোটরভ্যানে চাপিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। গত মঙ্গলবার সকালে ময়ূরেশ্বর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার রাস্তার ধারে সবুজ ধ্বংস হতে দেখে মানুষজন ভিড় জমান। গাছ কাটার অনুমতি রয়েছে কি না তাঁরা জানতে চান। কিন্তু, কোনও অনুমতি দেখাতে না পারায় তাঁদের সন্দেহ হয়। এনিয়ে সাময়িক বচসাও হয় তাঁদের মধ্যে। এরপরই তাঁরা পুলিস ও পিডব্লুডির অফিসে খবর দেন। যদিও পিডব্লুডির লোকজন আসার আগেই বড় বড় গুঁড়ি মোটরভ্যানে চাপিয়ে চম্পট দেয় গাছ কাটার কাজে যুক্ত থাকা লোকজন।
পরে পঞ্চায়েত থেকে গাছগুলি কাটানো হচ্ছে বলে গ্রামবাসীরা জানতে পারেন। এরপরই পঞ্চায়েতের সমালোচনায় মুখর হন এলাকার মানুষ। তাঁরা বলেন, গাছগুলি কারও কোনও অসুবিধা করেনি। তাছাড়া প্রাচীন এই গাছ বিভিন্ন ঝড়ঝাপটা থেকে আমাদের রক্ষা করে এসেছে। প্রচণ্ড গরমে এই বটগাছের তলায় জিরিয়ে নিতাম। তাঁরা বলেন, গত জানুয়ারি মাসে সিউড়িতে পরিবেশ মেলার উদ্বোধন মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী বলেছিলেন, জেলার কোথাও গাছ কাটা যাবে না। যে গাছ কাটবে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অথচ তাঁদেরই দলের নিয়ন্ত্রণাধীন পঞ্চায়েত সরকারি রাস্তার ধারের গাছ কেটে বিক্রি করে সবুজ ধ্বংসে মেতেছে।
পঞ্চায়েত প্রধান আলিয়া বিবির স্বামী লালু শেখ বলেন, গাছগুলি পঞ্চায়েত থেকেই লাগানো। তাই বনদপ্তরের অনুমতি নিয়ে কাটা হচ্ছে। তবে, পিডব্লুডির জায়গায় থাকা কয়েকটা গাছ ভুল করে কাটা হয়েছে। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে স্যানিটাইজ সহ নানা খরচ রয়েছে। তাই পঞ্চায়েতের তহবিল বাড়াতে গাছগুলি কাটা হচ্ছে। তবে, আপাতত গাছ কাটা বন্ধ রাখা হয়েছে।
এডিএফও বিজনকুমার নাথ বলেন, মনে হয় ৩০০ গাছ কাটার অনুমতি নিয়েছিল পঞ্চায়েত। অফিস তো এখন ছুটি। তাই নিশ্চিতভাবে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। পিডব্লুডির অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হাসান আলি বলেন, ওই রাস্তার ধারে পিডব্লুডির অধীনে থাকা গাছগুলি কাটার অনুমতি কাউকে দেওয়া হয়নি। খবর পাওয়ার পরই এলাকায় জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ারকে পাঠানো হয়েছিল। পিডব্লুডির জায়গায় থাকা ছোট, বড় মিলিয়ে ৫৭টি গাছ কাটা হয়েছে। থানায় অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া রিসিভ কপি দিতে পারবেন না বলে থানার অফিসার জানান। তাই থানার মেল আইডি এবং ওসির হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরেও অভিযোগ জানানো হয়েছে। যদিও এব্যাপারে পুলিস কিছু বলতে চায়নি। প্রতীকী ছবি