পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কেশপুরের মোহবনী গ্রামে ক্ষুদিরাম বসুর মূর্তি রয়েছে। পাশে একটি লাইব্রেরি এবং গেস্ট হাউস রয়েছে। আর জন্মভিটের পাশেই একটি জলাশয় রয়েছে। গেস্ট হাউসটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় তা বেহাল হয়ে পড়েছে। যদিও পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু আধিকারী বিপ্লবীর জন্মভিটেয় নতুন করে একটি কমিউনিটি হল তৈরির জন্য ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছিলেন। এখন সেই প্রকল্পের কাজ চলছে। এছাড়াও জন্মভিটে ঢেলে সংস্কার করার জন্য নতুন করে আরও এক কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। গত বছর বীরসিংহ গ্রামে এসে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর জন্মভিটে সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের কর্তাদের নির্দেশ দিয়ে যান। পরবর্তীকালে জন্মভিটে সংস্কার করার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অর্থ চেয়ে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। গত ৬ তারিখ খড়্গপুর জেলা প্রশাসনিক বৈঠকে এসে মুখ্যমন্ত্রী ফের মোহবনীতে ক্ষুদিরাম বসুর জন্মভিটে সংস্কারের নির্দেশ দিয়ে যান। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁর জন্মভিটে ঢেলে সাজানোর জন্য জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। বুধবারই অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) সৌর মণ্ডল, জেলা পরিকল্পনা আধিকারিক এবং কেশপুরের বিডিও দীপক ঘোষ মোহবনী গ্রামে যান। তাঁরা জন্মভিটের অবস্থা খতিয়ে দেখেন। গোটা এলাকাটিকে সুন্দরভাবে সাজানোর জন্য কী ধরনের পরিকল্পনা নেওয়া যায়, তা আলোচনা করেন। পরে, প্রাথমিকভাবে একটি রূপরেখাও ঠিক করা হয়। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জন্মভিটের গেট থেকে ক্ষুদিরাম বসুর মূর্তি পর্যন্ত রাস্তাটিকে সুন্দরভাবে সাজানো হবে। মূর্তির পাশে লাইব্রেরি রয়েছে। সেটি সংস্কার করা হবে। আগামীদিনে সেখানে লাইব্রেরি কাম মিউজিয়াম তৈরি করা হবে। ক্ষুদিরাম বসুর সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য, ছবি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংগ্রহ করে তা মিউজিয়ামে রাখা হবে। জন্মভিটের পাশে জলাশয় রয়েছে। সেটিরও সংস্কার করা হবে। জলাশয়ের পাশে হাইমাস্ট আলো লাগানো হবে। গেস্ট হাউসটি ঢেলে সংস্কার করা হবে। কেশপুরের বিডিও বলেন, জন্মভিটের কাছে দু’টি গেস্ট হাউস রয়েছে। বহুদিন সংস্কার না হওয়ায় দু’টির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। এই প্রকল্পের টাকায় দুটি গেস্ট হাউসের সংস্কারও করা হবে।