গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
চাষ করার জন্য জমির পরিমাণ অনুযায়ী নিশ্চিত আয় প্রকল্পে টাকা দেওয়া হয়। ২০১৮ সাল থেকেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী কৃষকবন্ধুরা মূলত এই প্রকল্পের সুবিধা পান। ২০১৮-’১৯ সালে রবি মরশুমের জন্য এই জেলায় চাষিদের চেক দেওয়া শুরু হয়। প্রথমবারই জেলার ৪ লক্ষ ২৩২৮ জন কৃষকবন্ধু নিশ্চিত আয় প্রকল্পের জন্য ব্লকে ব্লকে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। অধিকাংশ চাষিকে এই প্রকল্পের টাকা দেওয়া হয়েছিল। ধীরে ধীরে জেলায় কৃষকবন্ধুর সংখ্যা বাড়তে থাকে।
জেলা কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯-’২০ সালে রবি ও খরিফ মরশুমের জন্য জেলায় ৪ লক্ষ ১২ হাজার ৪৫ জন চাষি নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। দু’টি মরশুমে চাষ করার জন্য চাষিদের চেক দেওয়া হয়েছিল। ২০২০-’২১ সালে কৃষকবন্ধুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ লক্ষ ৭৭ হাজার। এখনও ব্লকে ব্লকে কৃষকবন্ধুর জন্য আবেদন জমা পড়ছে। তবে, খরিফ চাষের জন্য ৪ লক্ষ ৭৭ হাজার কৃষকবন্ধুকে নিশ্চিত আয় প্রকল্পের টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পে সর্বনিম্ন ১০০০ এবং সর্বোচ্চ আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত চাষিদের দেওয়া হয়। গত জুলাই মাস থেকে টাকা দেওয়া শুরু হয়েছে। পুজোর ছুটির আগে পর্যন্ত জেলায় ৪ লক্ষ ৬৮ হাজার ৭২০ জন কৃষকবন্ধুকে নিশ্চিত আয় প্রকল্পে ৭০ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে।
কৃষিদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে জেলায় ফের কৃষকবন্ধু প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। এপর্যন্ত প্রায় ২৩ হাজার নতুন চাষি কৃষকবন্ধু প্রকল্পে আবেদন করেছেন। যদিও খরিফ মরশুমে তাঁদের কোনও টাকা দেওয়া হবে না। তবে, সামনের রবি মরশুমে তাঁরা নিশ্চিত আয় প্রকল্পের টাকা পাবেন। সেই মতো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রমাপ্রসাদ গিরি বলেন, খরিফ মরশুমের চাষের জন্য জেলার অধিকাংশ কৃষকবন্ধুকে নিশ্চিত আয় প্রকল্পে টাকা দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার সবসময় চাষিদের পাশে আছে।