কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন সকাল ১১টায় জেলাশাসক পার্থ ঘোষ করোনা টেস্ট নিয়ে ভিডিও কনফারেন্স করেন। তাতে দুই স্বাস্থ্যজেলার সিএমওএইচ, চার মহকুমা শাসক, ২৫জন বিডিও, সমস্ত সহ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, দুর্গাপুজোর পর সংক্রমণ অনেকটাই বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেকথা মাথায় রেখেই প্রতিদিন টেস্টের সংখ্যা দ্বিগুণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগে ব্লকপিছু দৈনিক ৪০থেকে ৫০টি টেস্ট করার নির্দেশ ছিল। এদিন সেই সংখ্যাটা বাড়িয়ে ৮০থেকে ১০০ করার নির্দেশ দেন জেলাশাসক। তার মধ্যে আরটিপিসিআর টেস্ট ৪০থেকে ৫০টি এবং র্যাপিড টেস্ট ৪০থেকে ৫০টি করতে হবে বলে কোটা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ব্লকে প্রত্যেকদিন কোনও না কোনও জায়গায় ক্যাম্প করে করোনা টেস্ট হচ্ছে। এবার রাজ্য থেকে টেস্টের সংখ্যা দ্বিগুণ করার নির্দেশ এসেছে। সেইমতো প্রত্যেক ব্লককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার তালিকা জরুরি ভিত্তিতে আজকের মধ্যেই জেলায় জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ব্লকের স্বাস্থ্যদপ্তরের অধীন মেডিক্যাল অফিসার থেকে রাঁধুনি পর্যন্ত নামের তালিকা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে। এদিন চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট অফিসের(সিডিপিও) অন্তর্গত প্রত্যেকের তালিকা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের অধীনে চলা সমস্ত ক্লিনিকের ডাক্তার ও অন্যান্য স্টাফদের নামের তালিকাও চাওয়া হয়েছে। এর ফলে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং সহায়িকারা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ভ্যাকসিন পাবেন। আশাকর্মী, এএনএম, স্বাস্থ্যকর্মী, নার্স, হাসপাতালের সাফাইকর্মী থেকে অ্যাম্বুলেন্স চালক, প্রত্যেকেই আগেভাগে ভ্যাকসিন পাবেন।
জেলায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬০জন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় দৈনিক গড়ে দেড়শো থেকে দু’শো জন আক্রান্ত হচ্ছেন। বুধবার একসঙ্গে পাঁচজন আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ থেকে ২৭ অক্টোবরের মধ্যে মাত্র চারদিনে জেলায় ১০জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হল। জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ১৪হাজার। সংক্রমণের গ্রাফ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। এই অবস্থায় ভ্যাকসিন কবে আসবে, তা নিয়ে অধীর অপেক্ষায় রয়েছেন জেলাবাসী। উৎসবের মরশুমে সংক্রমণ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তরের অফিসাররা। তাই করোনা পরীক্ষা ক্যাম্পে যাতে উপস্থিতির হার বাড়ে, সেব্যাপারে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এখনও পর্যন্ত প্রায় আড়াইশো স্বাস্থ্যকর্মী করোনা সংক্রামিত হয়েছেন। কাঁথি এবং হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালের দু’জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। মহিষাদলে করোনা আক্রান্ত একজন এএনএম কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তাই করোনার বিরুদ্ধে যাঁরা সামনে থেকে লড়াই করছেন, তাঁদের আগেভাগে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।