কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সমবায় সূত্রে জানা গিয়েছে, ম্যানেজারের পদে থাকার সুবাদে সোমনাথবাবু সমিতির অর্থ বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র এবং ব্যাঙ্কের লেনদেন সামলাতেন। ২০১৭-’১৮ আর্থিক বছরের অডিটের সময় অনিয়মের বিষয়টি সামনে আসে। অ্যাকাউন্টে যে পরিমাণ টাকা থাকার কথা, তা ছিল না। নকল ভাউচারের বিনিময়ে সাধারণ চাষিদের জমা করা টাকা এবং লোন বাবদ সংগৃহীত অর্থ ব্যাঙ্কে জমা করা হয়নি। প্রচুর ভুয়ো নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তাছাড়া ম্যানেজারের নিজের জিম্মায় আরও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি থেকে গিয়েছে। অডিট রিপোর্ট সামনে আসার পর গত ৮জুন ময়না ব্লকের কো-অপারেটিভ ইন্সপেক্টরের উপস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। সেখানে অভিযুক্ত ম্যানেজার টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে অঙ্গীকার করেন। কিন্তু, অল্পস্বল্প টাকা ফেরানোর পর নিজের দেওয়া কথা রাখেননি ম্যানেজার। শেষমেশ তাঁর বিরুদ্ধে ময়না থানায় এফআইআর করেন সমবায় সমিতির সম্পাদক।
সমবায় সমিতি থেকে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা তছরুপ হওয়ার কারণে এই মুহূর্তে চাষিদের প্রাপ্য টাকা দেওয়া যাচ্ছে না বলে পরিচালন কমিটির কর্মকর্তাদের দাবি। তাছাড়া সমবায় সমিতির কাছেই অভিযুক্ত ম্যানেজারের বাড়ি। তিনি পরিবারের অন্য সদস্যদের এনে পরিচালন কমিটির বাকি কর্মকর্তাদের উপর প্রায়ই চড়াও হচ্ছেন বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত ম্যানেজারের ভাই দেবনাথ দাস স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। তিনি শ্রীকণ্ঠা অঞ্চল তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য। তিনি এই ঘটনায় তাঁর দাদাকে প্রশ্রয় দেওয়ায় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ম্যানেজারের ভাইকেও দল থেকে বহিষ্কার করে দিয়েছে।
সমবায় সমিতির সহ সভাপতি তথা শ্রীকণ্ঠা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান মদন ভৌমিক বলেন, অভিযুক্ত ম্যানেজারকে আগাগোড়া সমর্থন করেছেন তাঁর ভাই। সেজন্য ওই নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছি আমরা। সমবায় সমিতির সভাপতি সুভাষ মান্না বলেন, ম্যানেজার একতরফাভাবে কাজ করতেন। অফিসে কাউকে জবাবদিহি করতেন না। সাধারণ সভার বৈঠকে কোরাম হওয়ার পর সিদ্ধান্ত নিজেই নিতেন। আমরা তাঁর একচ্ছত্র ক্ষমতা খর্ব করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। তারপর প্রায় ১৩ লক্ষ টাকার অনিয়ম সামনে এসেছে। বাধ্য হয়ে আমরা এফআইআর করেছি। এব্যাপারে অভিযুক্ত ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এব্যাপারে কোনও মন্তব্য করব না। তাঁর ভাই দেবনাথ দাস বলেন, আমি পেশায় একজন ঠিকাদার। সেজন্য নিজেই পার্টি থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। নেতৃত্ব আমাকে বহিষ্কার করেনি। ময়না থানার ওসি মহম্মদ মহিউল ইসলাম বলেন, সমবায় সমিতির ম্যানেজারের বিরুদ্ধে প্রতারণা সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।