রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
হাইড্রোপনিক্স পদ্ধতিতে চাষ কী ও কেমন? কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাইড্রোপনিক্স একটি অত্যাধুনিক কৃষি পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে মাটির পরিবর্তে জল থেকে প্রয়োজনীয় খাবার সংগ্রহ করে গাছ। জনবহুল দেশে যেখানে স্বাভাবিকভাবে চাষের জমি কম, সেখানে বাড়ির ছাদ, উঠোন, পলি টানেল এবং নেট হাউসে হাইড্রোপনিক্স পদ্ধতিতে সবজি ও ফল উৎপাদন হয়। দেশীয় এলাকায় যাঁদের পাকাবাড়ি রয়েছে, চাষের জায়গা নেই বা মাটি নেই, তাঁরা অনায়াসে বাড়ির ছাদ বা উঠোন, কিংবা নেট হাউসে হাইড্রোপনিক্স পদ্ধতিতে সব্জি বা ফল চাষ করতে পারেন। লঙ্কা, বেগুন, টম্যাটো, ক্যাপসিকাম, ব্রকোলি সহ নানা শাকসব্জি যেমন চাষ হয়, তেমনি স্ট্রবেরির মতো ফলও চাষ করা যায়। এছাড়া বিভিন্ন ফুলের চাষ করা যায়। আমেরিকা, জাপান, তাইওয়ান, চিন, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালওয়েশিয়ার মতো দেশে বাণিজ্যিকভাবে এই পদ্ধতির মাধ্যমে সবজি ও ফল উৎপাদন করা হয়। জানা গিয়েছে, এই চাষে সবচেয়ে বড় সুবিধা হল সারা বছরই চাষ করা যায় এবং উৎপাদিত ফসলে কোনও কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় না। অনুর্বর এবং উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকায় নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে যেমন এই পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদন করা যাবে, তেমনি শহরের বদ্ধ জায়গায় ফসল উৎপাদন করেও লাভবান হওয়া সম্ভব। জৈব পদ্ধতিতে চাষ হয় বলে বিষমুক্ত ফসল পাওয়া যায়। এটি পরিবেশবান্ধব এবং এই পদ্ধতির চাষে কীটপতঙ্গের আক্রমণ কম বলে ফসলে কোনও কীটনাশক ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না। উৎপাদিত ফসলে কোনও বিষাক্ত প্রভাব থাকে না। আর অল্প জায়গায় অধিক ফলন পাওয়া যায়।
ব্লকের উদ্যানপালন দপ্তরের ফিল্ড কনসালট্যান্ট শঙ্কর আচার্য বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে বেশ কিছুদিন আগে হাইড্রোপনিক্স চাষ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছিলাম। কিন্তু প্রত্যন্ত গ্রামে এই প্রযুক্তি কীভাবে আমদানি করা যাবে, তা নিয়ে আমরা বেশ চিন্তায় ছিলাম। রাজারহাটের একটি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারাই সবরকম সহায়তা করে। শুরু হয় যোগ্য কৃষক খুঁজে বের করার কাজ। অবশেষে তা সফল হয়েছে। আমরা এলাকার চাষিদের এই পদ্ধতিতে চাষের জন্য সবসময় উৎসাহিত করছি। তিনি বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে আবাদি জমির পরিমাণ কমছে। বর্ধিত চাহিদা পূরণ করতে প্রয়োজন হচ্ছে অতিরিক্ত খাদ্য।