রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পৌনে সাত লক্ষের মধ্যে ছ’লক্ষ ৩২ হাজার ৬৩০টি মুরগি, ৩৪ হাজার হাঁস এবং ৫৩১৩টি ছাগল ছানা দেওয়া হবে। জেলার ২৩টি ব্লকের অধীনে ২১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। তাই প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় বিলি করার জন্য জেলা পরিষদের তরফেও খসড়া তৈরি করা হয়েছে। জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুরগি ছানা ব্যক্তিপিছু ১০টি করে দেওয়া হবে। অর্থাৎ, ছ’লক্ষ ৩২ হাজার ৬৩০টি মুরগি ৬৩ হাজার ২৬৩ জন বাসিন্দাকে দেওয়া হবে। একইভাবে হাঁসও ব্যক্তিপিছু ১০টি করে দেওয়া হবে। ফলে, জেলার ৩৪০০ মানুষ ৩৪ হাজার হাঁসের ছানা পাবেন। প্রতিটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ২১টি করে ছাগল ছানা দেওয়া হবে। প্রতিটি ব্লকে ১১টি করে স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে এই ছাগল দেওয়া হবে। অর্থাৎ ২৩টি ব্লকে ২৫৩টি গোষ্ঠী মোট ৫৩১৩ ছাগল ছানা পাবে।
দপ্তরের দাবি, মুরগি ও হাঁসের ছানা বিলি করার ফলে, জেলায় ডিমের উৎপাদনও বাড়বে। গ্রামীণ এলাকার মানুষ ঘরে ঘরে হাঁস ও মুরগি প্রতিপালন করেন। তাই তাঁদেরই চিহ্নিত করা হচ্ছে। যাতে তাঁরা অর্থনৈতিক দিক থেকে আরও স্বনির্ভর হন। দ্বিতীয়ত, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে গ্রামীণ এলাকার অসংখ্য মহিলা যুক্ত রয়েছেন। তাই গ্রামীণ মহিলারাও যাতে আর্থিকভাবে আরও স্বাবলম্বী হন তার জন্য গোষ্ঠীর হাতেই ছাগল ছানা দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে লক্ষাধিক মানুষ এই সরকারি সুবিধা পাবেন। প্রশাসনের দাবি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই মাটির সৃষ্টি প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা। অনুর্বর ও পতিত জমিকে কাজে লাগিয়ে উর্বর করার অভিনব প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের সঙ্গে উদ্যানপালন, মৎস্য চাষ, প্রাণিপালনের মতো বিভিন্ন প্রকল্পকেও যুক্ত করা হচ্ছে। গোটারি ফার্মের উন্নতিকরণের কাজ শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পেও জেলার প্রাণিপালকরা উপকৃত হবেন।
পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া বলেন, মুরগি, হাঁস ও ছাগল মিলিয়ে আমাদের জেলা পৌনে সাত লক্ষ ছানা বিলি করার অনুমোদন পেয়েছে। আমরা প্রাথমিকভাবে প্রশাসনিকস্তরে এর প্রস্তুতি নিয়েছি। পুজোর ছুটি মিটে গেলেই ব্লকে ব্লকে বিলি শুরু হবে।