গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বুধবারই তেহট্টে একাধিক পুজোর উদ্বোধন করেছেন সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র। বৃহস্পতিবার করিমপুর-১ ব্লকে প্রায় ৩০টি ছোট-বড় পুজোর উদ্বোধনে যান তিনি। তবে আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, মণ্ডপ থেকে ১০মিটার দূরত্বে পুজো উদ্বোধনের ব্যবস্থা করতে হবে। ভিতরে যাওয়ার অনুরোধ বা ফুল দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া যাবে না। কোভিড সংক্রান্ত সমস্ত বিধি নিষেধ মানতে হবে। এদিকে ষষ্ঠীতেই জেলার বহু জায়গায় মণ্ডপে অনেককে দেখা যায়। আবার পাড়ার লোকজন কোথাও না গিয়ে মণ্ডপেই চুটিয়ে আড্ডা মারলেন এমন দৃশ্যও চোখে পড়েছে। তবে পুজো উদ্যোক্তাদের অনেকেই বলছেন, ষষ্ঠীর সেই আমেজ এদিন ধরা পড়েনি। অনেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বেরিয়ে পড়েন।
কৃষ্ণনগর শহরে পাত্রবাজার, কায়েতপাড়া, ঘূর্ণিতে এমন বহু চিত্রই ধরা পড়ল। কালীগঞ্জে বেশ কয়েকটি পুজোর উদ্বোধন করেন তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর নাসিরুদ্দিন শাহ। নদীয়ার পুজোর রানাঘাট মহাকুমার বিভিন্ন এলাকায় বিগ বাজেটের পুজোগুলি ছোট হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বেশিরভাগ জায়গায় উদ্বোধনের অনুষ্ঠান বাতিল হয়েছে। অনেকে আবার বলিউড বা টলিউডের তারকা, রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসনিক কর্তাদের দিয়ে উদ্বোধন করানোর পরিবর্তে পাড়ার প্রবীণ নাগরিক বা কোনও মঠের সন্ন্যাসীদের দিয়ে উদ্বোধন করেছেন। এবছরে রানাঘাট শহরের ভাঙড়াপাড়া সিদ্ধান্তপাড়া পুজো কমিটির পুজোর উদ্বোধন ভার্চুয়ালি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শহরের বিগ বাজেটের সেরা পুজোগুলির মধ্যে দে চৌধুরীপাড়া অ্যাথলেটিক ক্লাবের পুজো এবছর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিল করেছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিল শহরের স্ট্যান্ড রোডের চারের পল্লি, কালীপদ চট্টোপাধ্যায় চিলড্রেনস পার্ক সহ বেশিরভাগ বড় পুজোগুলি। আবার রানাঘাট-২ ব্লকের আমরা সবাই ক্লাবের পুজো এবং সুভাষপল্লি দুর্গাপুজো কমিটি তাদের পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করেছে এলাকার প্রবীণ নাগরিকদের দিয়ে। বারাসাত পঞ্চায়েত এলাকার আমরা সবাই স্পোর্টিং ক্লাবের পুজোর উদ্বোধন করেন রানাঘাট পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়। বাদকুল্লার শ্যামাশ্রী মহিলা সমিতির দুর্গাপুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করেন রানাঘাটের সংসদ সদস্য জগন্নাথ সরকার।
তবে এবার বাদকুল্লায় এবার অন্যান্যবারের মতো পুজোর আমেজ নেই বলেই জানাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। এক পুজো কমিটির সদস্য পার্থ ঘোষ বলেন, পুজোর সেই আমেজ নেই। তারপর আবার বৃষ্টিতে বাকি কিছু থাকল না। শান্তিপুর শহরেও বেশিরভাগ পুজোর উদ্বোধন অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। শহরের অন্যতম পুজোগুলির মধ্যে শ্যামবাজার বকুলতলা বারোয়ারি, ডাবরেপাড়া বারোয়ারি, চড়কতলা বারোয়ারির মত পুজোগুলি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবার স্থগিত রাখা হয়েছে। রানাঘাট, শান্তিপুর, বাদকুল্লার পাশাপাশি ফুলিয়াতেও বেশ কয়েকটি বিগ বাজেটের পুজো এবছর ছোট করা হয়েছে। বেশিরভাগ পুজোর উদ্বোধন স্থগিত রাখা হয়েছে। বিধায়করা অবশ্য তাঁদের নিজের এলাকার কয়েকটি পুজোর উদ্বোধন করেছেন। এদিন সন্ধ্যার পর অনেকেই মণ্ডপের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েন।