কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রতিবছর পুজোয় ভিড় সামলানো পুলিসের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠে। কিন্তু, করোনা আবহে এবার হয়ত সেই ভিড় দেখা যাবে না। তার উপর এবার সব মণ্ডপেই ‘নো-এন্ট্রি’। কিন্তু, মণ্ডপের সামনে, রাস্তায়, খাবারের দোকান, ব্যস্ততম মোড়গুলিতে ভিড় থাকবেই। তাই ভিড় সামাল দিতে বর্ধমান শহরে পুলিস মোতায়েন শুরু হয়ে গিয়েছে। আজ, মহাষষ্ঠী থেকে আসরে নামবেন সাদা পোশাকের ওই মহিলা পুলিস কর্মীরা। তাঁরা দর্শনার্থীদের মতোই সালোয়ার, জিন্স কিংবা শাড়ি পরে থাকবেন। বর্ধমান শহরের যে সকল জায়গায় বেশি ভিড় হয়, সেখানে বেশি সংখ্যক এই মহিলা পুলিস রাখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য এবার পর্যাপ্ত পুলিস বাহিনী রাখা হচ্ছে। অশান্তি রুখতে শহরজুড়ে নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। আন্তঃজেলার সীমান্ত এলাকায় চেকিংও বাড়ানো হয়েছে।
এবার করোনা পরিস্থিতিতে যাতে কোনওভাবেই বাংলার সম্প্রীতি নষ্ট না হয়, তার জন্য একটি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে জেলা পুলিস। পুজোর দিনগুলিতে প্রতি মণ্ডপে ‘রাত পাহারা’ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে প্রতিদিন কমিটির সদস্যদেরও রাতভর জাগতে হবে। কোন পুজো মণ্ডপে কে কে সদস্য রাত জাগবেন, তাঁদের নামের তালিকা জমা দিতে হচ্ছে স্থানীয় থানায়। জেলা পুলিসের কাছ থেকে এই নতুন নির্দেশ পাওয়ার পর পুজো উদ্যোক্তারাও তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। সব মিলিয়ে এবার সর্বস্তরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। জেলা পুলিসের পক্ষ থেকে প্রতিটি পুজো কমিটিকে হাইকোর্টের রায়ের কপি দেওয়া হয়েছে। যাতে আদালতের গাইডলাইন বুঝতে কারও সমস্যা না হয়। সেই গাইডলাইন মেনে উদ্যাক্তারাও সমস্ত প্রস্তুতি নিয়েছে।
প্রতিবারের মতো এবারও বর্ধমান শহর সহ জেলার সমস্ত জায়গাতেই পুলিস সহায়তা কেন্দ্র করা হচ্ছে। যে সকল দর্শনার্থীর মুখে মাস্ক থাকবে, তাঁদের সচেতন করার জন্য ওই সহায়তা কেন্দ্র থেকে মাস্ক দেওয়া হবে। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত প্রতিদিন ওই মাস্ক দেওয়া হবে। এছাড়াও প্রতিটি পুজো কমিটিকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বলা হয়েছে। সকলে স্বাস্থ্যবিধি মানছে কি না তা ঘুরে ঘুরে খতিয়ে দেখছেন পুলিস অফিসাররা। কোথাও ত্রুটি ধরা পড়লেই তা দ্রুত সংশোধন করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। যাতে কোনওভাবেই স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে ঢিলেমি না হয়।
পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিস সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরা এবার পর্যাপ্ত সাদা পোশাকের মহিলা পুলিস মোতায়েন করছি। ইভটিজিং রুখতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নিরাপত্তা, ভিড় নিয়ন্ত্রণ, যান নিয়ন্ত্রণ সহ বিভিন্ন কাজের জন্য পর্যাপ্ত পুলিস বাহিনী রাখা হচ্ছে। সিভিক ভালন্টিয়ারও থাকবে। এবার নিরাপত্তায় বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কমিটিকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বলা হয়েছে। সকলেই সেই ব্যবস্থা করেছে। আমরাও স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে দর্শনার্থীদের সচেতন করার জন্য সহায়তা কেন্দ্র থেকে মাস্ক দেব। কারণ, মুখে মাস্ক ছাড়াও রাস্তায় কেউ বের হবেন না। সংক্রমণ রুখতে এটা আমাদের সকলকেই মানতে হবে।