বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
শ্যামলবাবু বলেন, গত আগস্ট মাসে বিশ্বজিৎ বাউরি দেখেন, একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁর ৩ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। এনিয়ে তিনি গত আগস্ট মাসে মেজিয়া থানার সাইবার ইউনিটে অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরেই ডিএসপি (ডিঅ্যান্ডটি), মেজিয়া থানার ওসি এবং বাঁকুড়া সাইবার ক্রাইম থানার ওসিকে নিয়ে একটি তদন্ত টিম গড়া হয়। ডিএসপির(ডিঅ্যান্ডটি) নেতৃত্বে ওই টিম তদন্ত শুরু করে। প্রতারিতর কাছ থেকে তাঁরা তথ্য সংগ্রহ করেন। তথ্য সংগ্রহ করা হয় ব্যাঙ্ক থেকেও। তারপরই টিমের সদস্যরা জাল বিছিয়ে অপরাধীদের ট্র্যাক করেন। তাতেই সাফল্য আসে।
বীরভূম জেলার খয়রাশোল থানার আমজোলার বাসিন্দা মঙ্গল বক্সি ওরফে মন্টু, মুক্তি বক্সি, লালচাঁদ মণ্ডল এবং দুবরাজপুর থানার মেটালার বাসিন্দা বুদ্ধদেব গোপকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়াও ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া থেকে উমাচরণ গোপ নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রত্যেকের বয়স ২১ থেকে ২২ এর মধ্যে।
অতিরিক্ত পুলিস সুপার বলেন, দীর্ঘদিন ব্যবহার না করার ফলে প্রতারিত বিশ্বজিতের একটি মোবাইল সিম বাতিল হয়ে গিয়েছিল। তাঁর ওই ফোন নম্বরটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, প্যান কার্ড, আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করানো ছিল। ওই সিমকার্ডটি কোনওভাবে অপরাধীদের হাতে চলে যায়। তা থেকেই অভিযোগকারী বিশ্বজিৎ বাউরির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সহ সমস্ত তথ্য তারা পেয়ে যায়। অপরাধীরা মোবাইলের সাহায্যে ইউপিআই পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে ওই অ্যাকাউন্টের টাকা মোট ৮টি অ্যাকাউন্টে সরিয়ে নেয়। ধৃতদের সঙ্গে জামতাড়া গ্যাংয়ের যোগ রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা অনুমান করছি। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা কতদিন ধরে এই কাজ করছে, তাদের সঙ্গে আর কে বা কারা যুক্ত রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। ওই আটটি অ্যকাউন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে।
ডিএসপি (ডিঅ্যান্ডটি) বিশ্বজিৎবাবু বলেন, যে ফোন নম্বর আধারকার্ড, প্যানকার্ড বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, সেটা কখনই বাতিল করা উচিত নয়। আর কোনও কারণে তা বাতিল হলে সমস্ত নথির রেজিস্টারে নতুন ফোন নম্বর যুক্ত করা দরকার। তারপর পুরনো নম্বরটি বাতিল করা যেতে পারে। তা না হলে কোনও কারণে সিমটি প্রতারকদের খপ্পরে পড়লে এভাবেই টাকা খোওয়াতে হতে পারে।