কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়লেও কিছু মানুষের মধ্যে থেকে সচেতনতা প্রায় উধাও। তাঁরা মাস্ক ছাড়াই হাটে-বাজারে বেরচ্ছেন। টোটো থেকে চারচাকা, বাস সবই চলছে ঠাসা যাত্রী নিয়ে। রাস্তা, দোকানপাট ভিড়ে ঠাসা। ফলে, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মুরারই-১ ব্লক এলাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৬৫। তার মধ্যে সক্রিয় করোনা আক্রান্ত ২৫জন। মারা গিয়েছেন তিনজন। তারপরও বড় অংশের মানুষ এখনও মাস্ক ছাড়াই বাইরে বেরচ্ছেন। শারীরিক দূরত্ব বজায় না রেখেই সবাই যাতায়াত করছেন। পুজোর এই সময় আরও সংখ্যক মানুষ রাস্তায় বেরচ্ছেন। ফলে, সংক্রমণের হার অনেক বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন প্রশাসনিক কর্তারা।
এদিন হাইকোর্টের রায় ও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে করোনা সংক্রমণ রোধে কী করতে হবে তা নিয়ে পুলিস, ব্লক স্বাস্থ্যকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন বিডিও। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, কেউ মাস্ক না পরে রাস্তায় বেরলেই তাঁর অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হবে। রিপোর্ট পজিটিভ এলে উৎসবের আনন্দ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে হবে। সেই সঙ্গে রোজগার বন্ধ করে আপনাকে হয় হোম আইসোলেশনে, নচেৎ পরিবার থেকে দূরে সেফ হোমে থাকতে হবে।
বিডিও বলেন, লক্ষ্য সবাইকে মাস্ক ব্যবহারে বাধ্য করা। কারণ, মাস্ক পরলে জীবাণু ছড়ানোর সুযোগ অনেক কম। সরকার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করলেও বেশিরভাগ মানুষ তা মানছেন না। আবার করোনা পরীক্ষাতেও আগ্রহ কম। তাই যাঁরা মাস্ক ব্যবহার করছেন না তাঁরা অজান্তেই করোনার বাহক হয়ে জীবাণু ছড়িয়ে বেড়াচ্ছেন কি না সেটা জানতেই এই সিদ্ধান্ত। সেই সঙ্গে বোঝানো হবে, এই পরিস্থিতিতে মাস্ক ব্যবহার কতটা জরুরি। তিনি বলেন, যাঁদের রিপোর্ট পজিটিভ আসবে তাঁদের হোম আইসোলেশনে থাকতে বলা হবে। যাঁদের বাড়িতে আলাদা করে থাকার ব্যবস্থা নেই তাঁদের প্রশাসনের উদ্যোগে সেফহোমে পাঠানো হবে। এরমধ্যে কারও উপসর্গ দেখা দিলে কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে।
জানা গিয়েছে, মুরারইয়ের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে এই পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে পুলিস, মেডিক্যাল টিম ও ব্লক প্রশাসনের লোকেরা থাকবেন। এছাড়া থাকবেন করোনাজয়ীরা। তাঁরা মানুষকে সচেতন করবেন এবং যাঁরা মাস্ক পরে রাস্তায় বেরবেন তাঁদের অ্যান্টিজেন পরীক্ষার করিয়ে নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করবেন।
রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলার সিএমওএইচ ডাঃ রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, রাস্তায় যাঁরা মাস্ক ব্যবহার করছেন না তাঁরা নিজেরা টেস্ট করিয়ে দেখে নিক করোনার বাহক কি না। আর পজিটিভ হলেই যে খাঁচায় বন্দি করে দেব এমনটা তো নয়। উপসর্গহীন থাকলে তিনি বাড়িতেই থাকবেন। সকলের উচিত ব্লক প্রশাসনকে সহযোগিতা করা।