কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রায় ৩০০ বছর আগে আড়রা গ্রামের মিশ্র পরিবারে দুর্গাপুজো শুরু হয়। কথিত আছে, পঞ্চকোট রাজার পুরোহিত মিশ্র পরিবারে কোনও কন্যা সন্তান ছিল না। পরিবারে কন্যা সন্তানের আশায় মিশ্র পরিবারের এক সদস্য বারাণসীতে গিয়ে মা অন্নপূর্ণার কাছে প্রার্থনা জানান। সেখানে মা এক কন্যার রূপ ধরে স্বপ্নাদেশ দিয়ে জানান, বাড়িতে গিয়ে মাতৃশক্তির আরাধনা করলেই কন্যা সন্তান লাভ হবে। সেই থেকে শুরু হয় দুর্গাপুজো। তার কয়েক বছর পরেই মিশ্র পরিবারে কন্যা সন্তান জন্ম নেয়।
মিশ্র পরিবারের বর্তমান সদস্য প্রদীপবাবু বলেন, মায়ের পুজোর জন্য ১৬৬২ খ্রিষ্টাব্দে পঞ্চকোট রাজা বলভদ্র শেখর সিংদেও পুজোর জন্য ৬২ বিঘা জমি দান করেন। বর্তমানে দু’টি পরিবার নিজের খরচায় পুজো চালায়। পারিবারিক পুজো হলেও গ্রামের সকলেই এখানের পুজোয় শামিল হন।
পাড়া থানার কাশীবেড়া গ্রামে মা পুজিত হন অস্ত্রে। প্রায় ২৬০ বছর আগে কাশীপুরের রাজার সেনাপতি গ্রামে পুজো শুরু করেন। বর্তমানে সেই সেনাপতির বংশধরেরা রীতি মেনে পুজো করে আসছেন। তবে এখানে পুজো হয় সম্পূর্ণ বৈষ্ণব মতে। পরিবারের সদস্য সাক্ষীগোপাল রায় বলেন, শুনেছি পরিবারের পুর্বপুরুষ কাশীপুরের রাজার সেনাপতি ছিলেন। তিনি রাজার ও রাজ পরিবারের মঙ্গল কামনায় দুর্গাপুজো শুরু করেন। সেনাপতিকে দেওয়া রাজার অস্ত্রতে শুরু হয় মায়ের পুজো। সেই অস্ত্র আজও পুজিত হয়ে আসছে। বৈষ্ণব মতে পুজো হয়। যে অস্ত্রটির পুজো হয় তাতেই চাল কুমড়ো, আখ বলি দেওয়া হয়। অন্যান্য বছর এখানে অনুষ্ঠান হলেও এবছর কোন অনুষ্ঠান থাকছে না।
পাড়া থানার আলকুশা গ্রামের পুজো এবছর শতবর্ষে পড়ল। এক সময় গভীর জঙ্গল ও জলাভূমি পার করে গ্রামের মহিলারা ৪ কিমি দূরে পুজো দিতে যেত। তাই গ্রামের মহিলাদের কথা ভেবে ১৯২০ সালে মায়ের পুজো শুরু হয়। বর্তমানে আশপাশের ধুলাবাইদ, খাতড়া, ধেড়িয়া, পরানপুর, কাশীবেড়্যার মতো কয়েকটি গ্রামের মানুষ পুজো দেখতে শামিল হন।
পুজো কমিটির সভাপতি শিবদাস শান্তিকারী বলেন, শতবর্ষ হলেও এবছর কোনও অনুষ্ঠান হচ্ছে না। অন্য বছর বিজয়ার দিন রাবণ পোড়া হলেও এবছর তা স্থগিত রাখা হয়েছে।