পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
চতুর্থীর রাত থেকেই যাতে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তারজন্য মঙ্গলবার সকালে বার্নপুরে চিত্রা মোড়ে পুলিস অ্যাসিস্ট্যান্ট বুথের উদ্বোধন করেন পুলিস কমিশনার ও জেলাশাসক। এদিন থেকেই কমিশনারেট এলাকায় ৭০টি পুলিস অ্যাসিস্ট্যান্ট বুথ কাজ করবে। সেখানে থেকে বেশিরভাগ মাস্ক বিলি হবে। তবে শুধু টেস্ট বা মাস্ক বিলিতেই থেমে থাকছে না স্বাস্থ্যদপ্তর। প্রতি পুজোমণ্ডপ ও জনবহুল এলাকাগুলি স্যানিটাইজ করার জন্য দমকলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ইমার্জেন্সির জন্য মোট ৫৮টি অ্যাম্বুলেন্সকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। করোনা রোগীর জন্য নতুন করে একশো বেড প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।
করোনার দৌলতে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব নিয়ে আশা-আশঙ্কার টানাপোড়েন চলছে। তাই বলে কি বছরের শ্রেষ্ঠ উৎসবে গৃহবন্দি থাকা সম্ভব? মানুষের মনে উঁকি দিচ্ছে নানা প্রশ্ন। স্বাস্থ্যদপ্তরের নানা বিধি নিষেধ, হাইকোর্টের রায়ের পর কার্যত সংশয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। তবে প্রশাসন সবরকম প্রস্তুতি নিয়েই ময়দানে নামছে। সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে করোনা পরীক্ষার উপর। কিছুদিন ধরে করোনা পরীক্ষার গতি কিছুটা মন্থর হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠছিল। তাই অনেকের অভিযোগ ছিল, প্রকৃত সংখ্যা পাওয়া যাচ্ছে না। পুজোর আগেই সেই অভিযোগ খণ্ডন করতে এবার মাঠে নেমেছে স্বাস্থ্যদপ্তর। এবার থেকে প্রতিদিন আড়াই হাজার করোনা পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে। এছাড়া সারি ওয়ার্ডে বেড বাড়ানো হচ্ছে। যাতে সন্দেহভাজন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তাঁদের রাখার ব্যবস্থা করা যায়। এর পাশাপাশি পুজোর চারদিন অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবাকে স্বাভাবিক রাখার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। করোনা রোগীদের জন্য ইতিমধ্যেই জেলায় ৪৯টি অ্যাম্বুলেন্স কাজ করছে। এগুলি ছাড়াও দুটি মহকুমা শাসকের কাছে ও সিএমওএইচের কাছে তিনটি করে বাড়তি অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া থাকবে। যাতে অবস্থা অনুযায়ী দ্রুত সেগুলিকে ব্যবহার করা যায়। ব্লকের বিডিও ও পুরসভার কমিশনার সহ পদাধিকারিরা দায়িত্ব নিয়ে নিজেদের এলাকা স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা করবেন।
তবে, সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে মাস্ক ব্যবহারের উপর। বিভিন্ন জায়গা থেকে মাইকে করে বাসিন্দাদের সতর্ক করার পাশাপাশি মাস্ক বিলিও করা হবে। পুলিস-প্রশাসন মোট চার লক্ষ মাস্ক সংগ্রহ করেছে। যা এই চারদিন বিতরণ করা হবে বলে পুলিস কমিশনার সুকেশ কুমার জৈন জানিয়েছেন।
তবে, শুধু করোনা নয়, এবার রাজ্য সরকারি নানা প্রকল্পের প্রচারেও জোরকদমে নামছে জেলা প্রশাসন। ১২০০টি বড় ফ্লেক্স বানানো হয়েছে।