পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক অনুপকুমার দত্ত বলেন, খবর নিয়ে জেনেছি, রাজ্যের বিভিন্ন হাট খুলে গিয়েছে। বিশেষ করে যার আদলে পোড়ামাটির হাট চালু হয়েছে, সেই শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরির হাটও শুরু হয়েছে। তাই কয়েকদিন আগে এনিয়ে পুরসভার সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। লক্ষ্মীপুজোর পরের দিন পোড়ামটির হাট চালু করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগের মতোই প্রতি শনিবার দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাট চলবে। হাটে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হবে। গেটের সামনে স্যানিটাইজার রাখা হবে। হাট প্রাঙ্গণ পরিষ্কার করার জন্য পুরসভাকে বলা হয়েছে। হস্তশিল্পীদের নিয়ে শীঘ্রই বৈঠক করা হবে।
বিষ্ণুপুরে হস্তশিল্পের প্রচার ও প্রসারের জন্য দু’বছর আগে ঐতিহাসিক জোড় শ্রেণীর মন্দির প্রাঙ্গণে পোড়ামাটির হাট চালু হয়। মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরির হাটের আদলে বসা ওই হাট খোলামেলা জায়গায় গাছগাছালির নীচে বসে। হাটে টেরাকোটার সামগ্রী, শাঁখ, কাঁসা, কাঁথাস্টিচ সহ নানা ধরনের হস্তশিল্পের সম্ভার নিয়ে শিল্পীরা বসেন। পর্যটকরা কেনাকাটার জন্য হাটে ভিড় জমান। আদিবাসী নৃত্য সহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হওয়ায় বিষ্ণুপুরের সাধারণ বাসিন্দাদেরও উৎসাহ তুঙ্গে থাকে। পোড়ামাটির হাটকে আরও অভিনব করে তুলতে সেখানে কিতকিত, কানামাছি, রুমালচুরি, কুমিরডাঙা প্রভৃতি পুরনো দিনের হারিয়ে যাওয়া খেলা নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
হাটে আসা দর্শনার্থীদের মনোরঞ্জনের জন্য ডুয়েট সাইকেল, অ্যাডভেঞ্চার বাইকে চড়ার সুবিধা পাওয়া যায়। নিশ্চিন্তে শুয়ে দোল খাওয়ার জন্য গাছে হ্যামক টাঙানো হয়। অল্পদিনেই পোড়ামাটির হাট বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কিন্তু করোনোর দাপটে চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে তা বন্ধ রয়েছে। তবে ইতিমধ্যে পর্যটনকেন্দ্রগুলি খুলেছে। পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন হাটও খুলেছে। তাই বিষ্ণুপুরের হস্তশিল্পীরা পোড়ামাটির হাট চালুর দাবি জানাচ্ছিলেন। সেই মতো উদ্যোগী হয়েছে মহকুমা প্রশাসন।
হস্তশিল্পীদের একাংশের বক্তব্য, করোনার কারণে শহরের শিল্পীরা চরম সঙ্কটে পড়েছেন। দীর্ঘ সাত মাস ঘরে বসে রয়েছি। যা সঞ্চয় ছিল তা শেষ হয়ে গিয়েছে। জেলায় পর্যটকরা এলেও পোড়ামাটির হাট না খোলায় আমরা শিল্পসামগ্রী বিক্রি করতে পারছি না। তাই আমরা প্রশাসনের কাছে হাট পুনরায় চালুর আর্জি জানিয়েছিলাম। লক্ষ্মীপুজোর পর তা খুলবে বলে শুনছি। তাতে আমরা খুবই উপকৃত হব।