কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
হোগলবেড়িয়া গ্রামে মা নস্করী দুর্গাপুজো এবার ৪৭৭বছরে পড়ল। এই পুজোর প্রতিষ্ঠাতা সাধু মহাদেব নস্কর। একসময় তান্ত্রিক মতে এই পুজো হতো। এখানে পঞ্চমুণ্ডীর আসনে বসে পুজো হতো। প্রাচীন রীতি মেনে কৃষ্ণা নবমীর দিন নিম গাছতলায় বোধন শুরু হয়। প্রতিমা তৈরি শুরু হয় জন্মাষ্টমীর দিন। এই পুজোকে সাম্প্রদায়িক মিলন মেলা বলা চলে। দুই বাংলার মানুষ এই পুজোতে অংশগ্রহণ করে। এবার করোনা আবহে দর্শনার্থীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে মণ্ডপ থেকে এক কিলোমিটার দূরে বাঁশের ব্যারিকেড দেওয়া হচ্ছে। এখানে প্রায় পাঁচশোজন স্বেচ্ছাসেবক প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করবেন। এখানে দর্শনার্থীদের হাত স্যানিটাইজ করে মণ্ডপে ঢোকানোর চিন্তাভাবনা করেছিল প্রশাসন। হাইকোর্টের রায়ের পর কী করা হবে তা নিয়ে চিন্তিত প্রশাসন। এই পুজোকে কেন্দ্র করে মেলা বসে। সেই মেলা নাগরদোলা থেকে নানা রকমের দোকান বসে। মাকে ভোগ দেওয়ার জন্য চিনির সন্দেশের দোকান বসত। এবার করোনা আবহে মেলা বন্ধ। দু’-একটি চিনির সন্দেশের দোকান বসতে পারে। এই পুজোর অন্যতম নিয়ম, বিসর্জন করার নির্দিষ্ট রাস্তা আছে। সেই রাস্তায় মাকে কাঁধে করে সাত বার ঘুরিয়ে কুঠির পুকুরে গিয়ে বিসর্জন হয়। এবার করোনা আবহে লোকজন কম হলেও পুজোর নিয়মে কোন ঘাটতি থাকছে না বলে জানান চট্টোপাধ্যায় পরিবারের লোকজন।
তেহট্ট মহকুমার অন্যতম পুরনো পুজো তেহট্টের ভট্টাচার্য বাড়ির পুজো। এই পুজো এবার ৪১৫তম বছরে পড়ল। এই পুজো তান্ত্রিক মতে হয়। তেহট্ট মহকুমার অন্যতম পুরনো ও বনেদি পুজো বলে অনেকে মনে করেন। তান্ত্রিক সাধক জগবন্ধু ভট্টাচার্য এই পুজো প্রচলন করেন। তিনি পঞ্চমুণ্ডির আসনে সিদ্ধিলাভ করার পর এই পুজো শুরু করেন। এখনও সেই পঞ্চমুণ্ডির আসন বর্তমান। পুরনো নিয়ম অনুসারে এখানও রথযাত্রার দিন মায়ের প্রতিমা বাঁধা শুরু হয়। ষষ্ঠীর দিন মায়ের চক্ষুদান করা হয়। দশমীর দিন চিরাচরিত প্রথা মেনে পান্তাভাত, কচুশাক দিয়ে মায়ের ভোগ দেওয়া হয়। এই পুজো না শুরু হলে তেহট্টের কোনও পুজো শুরু হয় না। এই প্রতিমা বির্সজন না হলে কোনও প্রতিমা বির্সজন হয় না। প্রথা মেনে এখনও প্রতিমাকে জলঙ্গি নদীতে নিয়ে গিয়ে নৌকায় ঘুরে বির্সজন দেওয়া হয়। কথিত আছে, আগে এই পুজোয় মোষ ও পাঁঠা বলি হতো। তবে এখন ক্ষীরের পাঁঠা করে বলি দেওয়া হয়। নবাবী আমলে এই পুজোয় অর্থসাহায্য আসত। এই প্রতিমার রং অতসী, সিংহ ঘোড়ার মতো দেখতে। এখানে সন্ধিপুজোয় ১০৮টি পদ্ম লাগে। এবার মণ্ডপ থেকে কিছুটা দূর থেকে অঞ্জলি দিতে হবে। করিমপুর-২ ব্লকের ধোড়াদহ চৌধুরীবাড়িতে এবারও পুজো হবে। তবে করোনার কারণে মাস্ক পরতেই হবে। সঙ্গে স্যানিটাইজার দেওয়া হবে। দোগাছিতে রাণী ভবানী প্রতিষ্ঠিত রাজবল্লভী মায়ের পুজো হচ্ছে। তবে মেলা হচ্ছে না। এবার ব্যারিকেড করে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হবে। কলকাতায় যাওয়ার আগে তুলির শেষ টান। কৃষ্ণনগরে তোলা নিজস্ব চিত্র