পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বাজারে জ্যোতি আলুর দাম কেজি প্রতি ৩২-৩৪ টাকা। আলু কিনতে গিয়ে মধ্যবিত্তকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই কৃষি বিপণন দপ্তরের উদ্যোগে ২৫ টাকা কেজি দরে জ্যোতি আলু বিক্রি করা শুরু হয়েছে। গত শনিবার দুপুর থেকে কৃষ্ণনগর শহর এবং আশপাশের এলাকায় ২৫টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি শুরু করা হয়। রাজ্য সরকারের নির্দেশেই সর্বাধিক চার কেজি আলু নিতে পারছেন বাসিন্দারা। শনিবারই সিঙ্গুর থেকে জেলায় ২০০ কুইন্টাল আলু এসে পৌঁছেছে। কৃষ্ণনগর-১ ব্লকের কৃষক বাজার, ঘূর্ণি, আমিনবাজার, শক্তিনগরের মতো পাঁচ-ছ’টি এলাকায় আলু বিক্রি করা হয়। জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলের মধ্যেই প্রায় ৮০ শতাংশ আলু বিক্রি হয়ে গিয়েছে। ফলে এই আলুর যে বিপুল চাহিদা রয়েছে তা সহজেই অনুমেয়। কৃষি বিপণন দপ্তরের কর্তারা জানান, আলুর বাজারদর নিয়ন্ত্রণ করতে এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রি করতে রাজ্যজুড়ে সুফল বাংলা স্টলের পাশাপাশি বেশকিছু জায়গায় কাউন্টার খোলা হয়েছে। সেভাবেই নদীয়া জেলায় এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তবে পুজোর আগে শুধু কৃষ্ণনগরে আলু বিক্রির উদ্যোগ নেওয়ায় অনেকে জেলাজুড়ে সরকার নির্ধারিত আলুর স্টল খোলার দাবি তুলেছেন। কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা অনুপ দেবনাথ বলেন, যে আলু বাজারে ৩৪টাকা কেজি, সেই আলু ২৫ টাকায় সুফল বাংলা স্টলে পেলাম। এতে আমাদের খুব সুবিধা হল। তবে চাপড়া বা নাকাশিপাড়া, হাঁসখালির কাছে কম দামে সাধারণ মানুষ আপাতত আলু কেনার কোনও স্টল পাচ্ছেন না। ক্ষোভের সঙ্গেই সেখানকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, পুজোর আগে সরকার নির্ধারিত ২৫ টাকা কেজি আলু কেনার সুযোগ পাব না কেন আমরা!
নদীয়া জেলা রেগুলেটেড মার্কেট কমিটির সম্পাদক দীপক বিশ্বাস বলেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশে শনিবার থেকে কৃষ্ণনগর শহর এবং সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন জায়গায় কাউন্টার খুলে আলু বিক্রি শুরু হয়েছে। এটা আপাতত বন্ধ থাকবে। পুজোর পর আমরা আবার জেলাজুড়ে একশোর বেশি স্টল করে আলু বিক্রি করব। এর জন্য ২৫ হাজার কুইন্টাল আলু আনা হবে। আশা করি, এর ফলে বহু মানুষ উপকৃত হবেন। জানা গিয়েছে, স্বনির্ভর গোষ্ঠী, ফার্মার্স প্রোডিউসার কোম্পানির মাধ্যমে এই আলু বেচা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, কৃষ্ণনগরের বিভিন্ন বাজারে ১৪০০-১৪২০ টাকা পাইকারি দরে এক বস্তা(৫০কেজি) আলু কিনছেন ব্যবসায়ীরা। আর বাজারে এক কেজি আলুর দর কোথাও ৩২, কোথাও ৩৪ টাকা। আলু ব্যবসায়ীরা বলছেন, আলুর দাম আর সেভাবে বাড়ার আশঙ্কা নেই। তবে কবে কমবে তাও আমরা বুঝতে পারছি না।