বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পর্যটন মুর্শিদাবাদ জেলার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে আসছে। জেলার হাজার হাজার মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পর্যটনের উপর নির্ভরশীল। লালবাগ এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে ৫০টির বেশি হোটেল রয়েছে। খাওয়া ও থাকার হোটেলগুলি পর্যটকদের উপর নির্ভরশীল। এছাড়াও গাইড, টাঙ্গাচালক, ফাস্টফুডের প্রচুর দোকান রয়েছে। হাজারদুয়ারি প্যালেস মিউজিয়াম সংলগ্ন বেশ কয়েকটি খাবারের হোটেল রয়েছে। এক হোটেল মালিক বলেন, সারাবছর ধরে প্রতিদিন ৪০০-৫০০জন পর্যটক খাওয়াদাওয়া করেন। তাছাড়া বছরের বিশেষ কয়েকটি দিন এবং পুজোর মরশুমে সংখ্যাটা দু’হাজার ছাড়িয়ে যায়। চলতি বছরে গড়ে ৩০জন খদ্দেরও হচ্ছে না। ঘর থেকে কর্মচারীদের মাইনে দিতে হচ্ছে। শহরের আর এক হোটেল মালিক ভোলানাথ সাহা বলেন, সপ্তাহ দুয়েক আগে একটি ঘর বুকিং হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতার এক বাসিন্দা সপরিবারে ঘুরতে এসেছেন। অথচ অন্য বছরগুলিতে মাসখানেক আগেই সব ঘর বুকিং হয়ে যায়। এবার বেশিরভাগ হোটেলে কোনওটিতে একটি বা বড়জোর দু’টি ঘর বুকিং হয়েছে। এদিকে প্রতিদিন হতাশা বাড়ছে বিভিন্ন পেশার মানুষের মধ্যে।
হাজারদুয়ারি প্যালেস মিউজিয়াম সূত্রে জানা গিয়েছে, জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুতেই খুলে দেওয়া হলেও পর্যটকদের সংখ্যা ৩০-৪০জনের মধ্যে ছিল। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে সংখ্যাটা বাড়তে শুরু করে। সেপ্টেম্বর থেকে সংখ্যাটা একশোয় পৌঁছয়। মহরম বাদ দিয়ে সংখ্যাটা একশোর মধ্যেই ঘোরাফেরা করছে। মহরমের দিন সংখ্যাটা তিনশো পেরিয়ে যায়। পর্যটক সংখ্যা কম হওয়ার জন্য অনলাইনে টিকিট ব্যবস্থাকে দায়ী করছেন গাইড, টাঙ্গাচালক এবং ব্যবসায়ীরা। অনলাইনে টিকিট বুকিংয়ে বেশিরভাগ মানুষ সড়গড় না হওয়ায় মুর্শিদাবাদ ঘুরতে আসছেন না। এই পরিস্থিতিতে আবার কাউন্টার থেকে টিকিট দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন তাঁরা। মুর্শিদাবাদ চেম্বার অব কমার্সের যুগ্ম সম্পাদক স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, পুজো শুরুর প্রায় সপ্তাহ খানেক আগে থেকে জেলা এবং বাইরে থেকে প্রতিদিন ছোটবড় মিলিয়ে ৫০-৬০টি পর্যটকদের গাড়ি আসে। স্কুল খোলার আগে অর্থাৎ ভাইফোঁটার পরের দিন পর্যন্ত এইভাবেই পর্যটকদের আনাগোনা চলতে থাকে। এবছর দিনকয়েক ধরে ছোট-বড় মিলিয়ে তিন-চারটি করে পর্যটকদের গাড়ি আসছে। পুজোর মরশুমে এভাবে চলতে থাকলে পুরো পর্যটন শিল্পই শেষ হয়ে যাবে। নিজস্ব চিত্র