বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে বেলপাহাড়ীর একাধিক এলাকায় পরপর চারবার মাওবাদী পোস্টার উদ্ধার হয়েছে। এনিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। জুলাই মাসে বেলপাহাড়ীর পচাপানি এলাকায় এক গ্যাসের এজেন্ট কাম ঠিকদারের বাড়ির সামনে পোস্টার পড়েছিল। গত ১৫ আগস্ট বেলপাহাড়ীর ভুলাভেদা এলাকায় কালাদিবস পালনের ডাক দিয়ে মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার পড়েছিল। আগস্ট মাসের শেষের দিকে ফের পচাপানি এলাকায় এক বিমাকর্মী, স্কুল শিক্ষক, মুদি ব্যবসায়ী এবং এক গ্যাসের এজেন্ট কাম ঠিকাদার সহ চারজনের বাড়ির সামনে টাকা চেয়ে মাওবাদী পোস্টার পড়ে। ৫০ হাজার টাকা থেকে দু’লক্ষ টাকা পর্যন্ত তাঁদের কাছে চাওয়া হয়। পোস্টার দেওয়ার পরপরই গ্যাসের এজেন্টের বাড়ির সামনে গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছিল। যা নিয়ে এলাকায় তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়।
সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গত ৪ সেপ্টেম্বর বেলপাহাড়ী থানার সিঁদুরিয়া এলাকায় এক ঠিকাদারের নামে মাওবাদী পোস্টার পড়ে। এসব ঘটনার মধ্যেই বেলপাহাড়ীর জঙ্গলে ঘুরতে যাওয়া খড়্গপুরের এক যুবকের মোবাইল কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনার পর রাজ্য পুলিসের ডিজি বীরেন্দ্র ঝাড়গ্রাম এসেছিলেন। চলতি মাসের ৭ তারিখ মুখ্যমন্ত্রী জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বেলপাহাড়ীতে মাওবাদী পোস্টার উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি পুলিসকে আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিয়ে যান। মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফরের পর বেলপাহাড়ীর সীমান্ত এলাকা সিসি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। নিরাপত্তা জোরদার করার মধ্যেই এদিনের ঘটনায় পুলিসের উদ্বেগ বেড়েছে। এদিন সকালে বালিডিহা গ্রামে একাধিক মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধার হয়। এনিয়ে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। একটি পোস্টারে লেখা ছিল, ‘মাওবাদী আছে, সারাজীবন থাকবে।’ পোস্টারের নীচে লেখা সিপিআই(মাওবাদী)। অন্য একটি পোস্টারে লেখা ছিল, ‘কাপগাড়ি অঞ্চলের চোরদের খতম তালিকা। ১) প্রধান (এক কোটি টাকার দুর্নীতি)। ২) ইঞ্জিনিয়ার। (সিপিআই মাওবাদী)।
কাপগাড়ি পঞ্চায়েতের প্রধান মমতা মুরানকে ফোন করা হলে তিনি বিষয়টি শোনার পর কোনও মন্তব্য করেননি। পরে, কানু চট্টোপাধ্যায় নামে একজন ফোন ধরে বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন। এলাকার মানুষ জানেন, প্রধান এলাকায় কত উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। আসলে এটা বিরোধীদের চক্রান্ত। পুলিস প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা এই ঘটনার তদন্ত করে দেখছে। আমাদের বিশ্বাস, পোস্টারের পিছনে আসল ঘটনা দ্রুত প্রকাশ্যে চলে আসবে।