কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ২০১৩ সালে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালকে স্বাস্থ্যজেলা হাসপাতালস্তরে উন্নীত করা হয়। এরপরই এসএনসিইউ, সিসিইউ, আইসিইউ, ডায়ালিসিস সহ বিভিন্ন বিভাগ চালু হয়। ফলে, বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ে। পরে এই ক্যাম্পাসেই কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে ওঠে পাঁচতলা ঝাঁ চকচকে মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। সেখানেও বিদ্যুতের জোগান দেওয়া হয়েছে। ছ’তলা মেডিক্যাল কলেজ চালু হওয়ায় সেখানেও বিদ্যুতের যথেষ্ট পরিমাণে চাহিদা রয়েছে। পুরনো বিল্ডিংয়ে মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব খোলা হয়েছে। সেখানেও পর্যাপ্ত লাইট, ফ্যান ছাড়া দু’টি লিফ্ট রয়েছে। এছাড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেও রয়েছে দু’টি লিফ্ট। মেডিক্যাল কলেজের একাধিক বিভাগে বসেছে এসি ও লিফ্ট। ফলে, এই হাসপাতালে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে চলেছে। মেডিক্যালে সবক’টি বিভাগ চালু হলে চাহিদা আরও বাড়বে। এতদিন রামপুরহাটের সাবস্টেশন থেকে বিদ্যুতের জোগান দেওয়া হতো। যার মধ্যে রামপুরহাটে বাণিজ্যিক এবং ঘরোয়া সংযোগ মিলে কয়েকহাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়া হয়। ফলে, এই সাবস্টেশনের উপর যথেষ্ট চাপও বাড়ছে। এমত অবস্থায় গতবছর রামপুরহাট হাসপাতালে পৃথক সাবস্টেশনের আবেদন জানায় কর্তৃপক্ষ। দ্রুত সেই আবেদনে সাড়াও মেলে। ২০ এমভিএ গ্যাস ইনসুলেটেড সাবস্টেশন গড়ে তুলতে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করে। টেন্ডারও হয়ে যায়। সেইমতো গত বছরের ৭ আগস্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকরা প্রস্তাবিত জায়গা পরিদর্শন করেন। সেখানে থাকা মর্গ ও পরিত্যক্ত বিল্ডিং ভেঙে ফেলার জন্য পিডব্লুডির আধিকারিকদের নির্দেশ দেন তাঁরা। সেইমতো মর্গ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ের নীচতলায়। কিন্তু, এখানকার পরিত্যক্ত বিল্ডিং ভাঙার কাজ দীর্ঘদিন থমকে থাকে। জানা গিয়েছে, সাবস্টেশন গড়ে তোলার জন্য সেসময় জেলাশাসক ও তৎকালীন মেডিক্যালের এমএসভিপি ডাঃ সুজয় মিস্ত্রি নো অবজেকশন দিয়েছিলেন। যদিও পরে এমএসভিপি সেই নো অবজেকশন সহ অনুমতি চেয়ে স্বাস্থ্যভবনে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য পাঠিয়ে দেন। ফলে, সেখান থেকে সবুজ সংকেত না আসায় পিডব্লুডি পরিত্যক্ত বিল্ডিং ভাঙতে পারছিল না। যার জেরে জটিলতার সৃষ্টি হয়। সমস্যার সমাধানে দু’মাস আগে জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কৃষমন্ত্রী তথা মেডিক্যালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে সংসদ সদস্য শতাব্দী রায়, মেডিক্যাল ও বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্তারা ছিলেন। ওই বৈঠক থেকেই মন্ত্রী মেডিক্যাল এডুকেশনের ডিরেক্টরের সঙ্গে কথা বলেন। সম্প্রতি সেই অনুমতি এসে গিয়েছে। সেইমতো দু’দিন আগে প্রস্তাবিত জায়গায় সাবস্টেশন গড়ে তুলতে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ শুরু হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, মেডিক্যালে পৃথক সাবস্টেশনের খুবই প্রয়োজন ছিল। এব্যাপারে এসডিওরও সদর্থক ভূমিকা রয়েছে। এরফলে বহু মানুষ নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা পেয়ে উপকৃত হবেন।
প্রণয়বাবু বলেন, এই সাবস্টেশনের বিদ্যুৎ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জন্যই ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে। অতিরিক্ত হলে ভবিষ্যতে অন্য কোথাও সংযোগ দেওয়ার কথা ভাবা হবে।