পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আসানসোলের জুবলি মোড়ের অদূরে পাঁচগাছিয়ার গান্ধীনগর পুজো কমিটি কয়েক বছর ধরেই এই খনি শহরের মানুষকে থিম ভাবনায় মুগ্ধ করছে। শুধু আসানসোল নয়, চিত্তরঞ্জন থেকে দুর্গাপুর বহু এলাকার মানুষ এখানে ভিড় জমান। ভিড় সামলাতে নাভিশ্বাস ওঠে উদ্যোক্তা থেকে পুলিসের। এবার বাজেটে কাটছাঁট হলেও তারা নতুন থিম ফুটিয়ে তুলছে। আদিবাসী সংস্কৃতিকে তুলে ধরে এবার তাদের থিম ‘লাল পাহাড়ীর দেশে’। হোগলা পাতা দিয়ে গড়ে উঠেছে প্যান্ডেল। তির থেকে আদিবাসীদের ব্যবহৃত নানা সামগ্রী মণ্ডপে ঠাঁই পেয়েছে। আদিবাসীদের পশু শিকার থেকে শ্রীকৃষ্ণের নানা কাহিনীও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তিনদিক খোলা প্যান্ডেলে ঢোকার মুখে থাকছে স্যানিটাইজ টানেল।
এবার আপকার গার্ডেনের পুজোর থিম শিবালয়। ভার্চুয়াল মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী এই পুজোর উদ্বোধন করেলেও পঞ্চমীর দিন থেকে তাদের মণ্ডপ খুলছে। এমনিতে মা কৈলাস থেকে বাপের বাড়ি আসার পর মায়ের পুজো হয়। কিন্তু এখানে দেখা যাচ্ছে শিবের বাড়িতেই মায়ের পুজো হচ্ছে। সামনে রয়েছেন মহাদেব। তবে প্রতিবার আপকার গার্ডেনের মাঠে পুজোর যে জমাটি আড্ডা বসে, এবার তা হচ্ছে না। এছাড়া অভিনব থিম ফুটিয়ে তুলছে রাধানগর রোড অ্যাথলিট ক্লাব। এবার তাদের থিম পুরনো ঘরানার, ঝলমলে আলোয় সাবেকী প্রতিমা। বিশাল আটচালায় মা পূজিত হবেন। আগে যেমন গ্রামাঞ্চলে পুজো হতো অনেকটা সেই ভাবনা থেকেই এধরনের থিমের আয়োজন করা হয়েছে। অনেকটা একই আদলে মণ্ডপ হয়েছে রবীন্দ্র নগর ও কোর্ট রোড পুজো কমিটির। তারাও খোলামেলা মণ্ডপ সাজিয়ে তুলেছে। পাশাপাশি থাকছে নানা স্বাস্থ্যবিধি মানার পোস্টার। কল্যাণপুর কে সেক্টরের পুজোও উদ্বোধন করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এখনও মণ্ডপ সজ্জার কাজ চলছে। উদ্বোধন হবে পঞ্চমীর দিন। কল্যাণপুরের আদি পুজোয় করোনার প্রকোপে নতুন কোনও থিমের ভাবনায় না গেলেও প্রতিমায় রয়েছে অভিনবত্ব। কিন্তু কল্যাণপুরের পুজোগুলির মধ্যে সবাইকে টেক্কা দিয়েছে স্কিম-২ পুজো। সম্পূর্ণ খোলা মণ্ডপে থাকছে অসাধারণ কারুকার্য। নৌকা থেকে মাঝিদের মাছ রাখা ছোট ঝুড়ির আদলে ‘কুপি’ সবই থাকছে। মা যে খেয়ায় বিপদ থেকে রক্ষা করবেন তাও দেখানো হয়েছে।
বার্নপুরে গত বছরের তুলনায় জৌলুস কমলেও সবকটি পুজোই হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ এই মন্দিরের পুজোর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। তাই অষ্টমীর দিন হাজার হাজার মানুষ ঠাকুরকে ভোগ পুজো দেন। পাঁচ হাজার মানুষের নরনারায়ণ সেবা হয়। এবার সবই বন্ধ। পুজো হচ্ছে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে। একচালায় অসাধারণ মায়ের মূর্তি ফুটিয়ে তুলেছেন শিল্পী জীবন ভাস্কর। ভারতীয় ভবনেও নিময় মেনে পুজো হচ্ছে। এটিই বার্নপুরের আদি পুজো। এবি টাইপের পুজো ৪১ তম বর্ষে পড়ল। সঙ্কীর্ণ জায়গার জন্য স্বাস্থ্য বিধি মেনে থিম ফুটিয়ে তুলতে হিমশিম খাচ্ছেন পুজো উদ্যোক্তারা। নববিকাশ ক্লাব, রামবাঁধ, নেতাজি স্পোর্টিং ক্লাবেও পুজো হচ্ছে। আসানসোলের প্রতিমা। - নিজস্ব চিত্র