বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মহকুমার একমাত্র শহর আরামবাগে এবার মোট ৪০টি দুর্গাপুজো হচ্ছে। সেই পুজো কমিটিগুলির অবস্থান তুলে ধরে ইতিমধ্যেই পুলিসের তরফে গাইড ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। আরামবাগের এসডিপিও অভিষেক মণ্ডল বলেন, দু’-একদিনের মধ্যেই ওই গাইড ম্যাপ প্রকাশ করা হবে। তাছাড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিতে সিসিটিভি লাগানোর কাজ চলছে। কোথাও যাতে কোনওরকমভাবে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য সর্বদা পুলিস তৎপর রয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোকে কেন্দ্র করে মহকুমাজুড়ে মোট ১৬টি পুলিসের অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্যাম্প খোলা হবে। তারমধ্যে আরামবাগ থানার অধীনে চারটি, গোঘাট থানার দু’টি, খানাকুল থানার ছ’টি, পুরশুড়া থানার চারটি ক্যাম্প থাকছে। পুজোর সময় ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া শিশুদের দ্রুত যাতে অভিভাবকের কাছে পৌঁছনো যায়, তার জন্য ওই পরিচয়পত্র দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে পুলিস। বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে পুলিসকর্মীরা পুজোর দিনগুলিতে বিকেল থেকে শিশুদের পরিচয়পত্র দেওয়ার কাজ করবে। ওই পরিচয়পত্রে শিশুর নাম, ঠিকানা, অভিভাবকের নাম, ফোন নম্বর লেখার জায়গা রাখা হয়েছে। পুলিসের উপস্থিতিতে তা পূরণ করে পরিচয়পত্রটি শিশুদের গলায় ঝুলিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পুজোর রাতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালাবে পুলিস। সেইমতো শহরের পল্লিশ্রী, নেতাজি স্কয়্যার, বসন্তপুর, গৌরহাটি, বাসুদেবপুর এলাকায় অতিরিক্ত ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা লাগানোর কাজ চলছে। এছাড়াও ইভটিজিংয়ের ঘটনা রুখতে পুজো মণ্ডপগুলিতে মোতায়েন থাকবে সাদা পোশাকের পুলিস। পুজোয় রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিসের তরফে দর্শনার্থীদের মাস্ক, স্যানিটাইজ দেওয়ার ব্যবস্থাও থাকছে।
পুজোর সময় অশান্তি ও গণ্ডগোল এড়াতে শহরের হোটেলগুলিতেও এবার নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিস। শুধু তাই নয়, পঞ্চমীর সন্ধ্যা থেকেই শহরের অলিগলিতে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও থাকছে কিছু বিধিনিষেধ। পুরসভা এলাকার মোট ৪০টি পুজো কমিটি মুখ্যমন্ত্রীর আর্থিক সাহায্যের চেক পেয়েছেন। তাদের চেক দেওয়ার সময় রাজ্যের চিফ সেক্রেটারির সই করা ২৮ সেপ্টেম্বরের নির্দেশিকা তুলে দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশিকায় পুজো মণ্ডপগুলিতে কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, তার উল্লেখ রয়েছে।
তবে অতিমারী ভাইরাস নিয়ে মানুষের মধ্যে কোনওরকম সচেতনতা লক্ষ্য করা যায়নি। মাস্ক না পরেই মানুষ রাস্তাঘাট, বাজারে যাচ্ছেন। মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব বিধিও। পুজোর সময় পরিস্থিতি আরও খারাপের আশঙ্কা করছে পুলিস। তাই সুষ্ঠুভাবে পুজো সম্পন্ন করার পাশাপাশি সংক্রমণ আটকানোটাই এখন পুলিসের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। নিজস্ব চিত্র