গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
মল্লারপুর থেকে সাঁইথিয়া ১৪ কিলোমিটার রাস্তা যেতে দু’ঘণ্টারও বেশি সময় লাগছে। কারণ কিছু দূর অন্তর রাস্তায় গর্ত। সামান্য বৃষ্টি হলেই খানাখন্দে জল জমে যাওয়ায় পথ চলা দায়। অন্যান্য সময় যানবাহন চলাচলের ফলে পুরো এলাকা ধুলোয় ঢেকে যাচ্ছে। দশ হাত দূরে কিছু দেখা যায় না। এরই মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। স্বভাবতই এলাকার বাসিন্দা থেকে পরিবহণ কর্মী সকলেই ক্ষুব্ধ। এদিন তাঁরা রুকুনপুর গ্রামের কাছে সকাল ৬টা থেকে পথ অবরোধ শুরু করেন। যার জেরে রাস্তার দু’ধারে সারি দিয়ে প্রচুর যানবাহন দাঁড়িয়ে যায়। ভোগান্তির মুখে পড়েন সাধারণ মানুষ। তবে, বাইক ও ছোট যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে তাঁরা কোনও বাধা দেননি।
আন্দোলনকারীরা বলেন, কয়েকমাস আগে পর্যন্ত এই রাস্তা চলাচলের উপযোগী ছিল। কিন্তু, রানিগঞ্জ-মোড়গ্রাম ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক বেহাল হয়ে পড়তেই এই রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল শুরু হয়। তার জেরেই এই রাস্তাটিও দ্রুত খানাখন্দে ভরে যায়। তাঁরা বলেন, বৃষ্টি হলেই খানাখন্দে জল জমে মরণফাঁদ তৈরি হচ্ছে। আর রোদ হলেই ধুলোয় জেরবার হতে হচ্ছে। বাড়ির দরজা, জানালা খোলা দায়। আসবাবপত্রে ধুলো জমে যাচ্ছে। ঢেকে রাখা সত্ত্বেও পানীয় জল ও খাবারে ধুলোর আস্তরণ জমছে। বয়স্ক মানুষের নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা হচ্ছে। তেমনি রাস্তার দু’ধারের জমির ফসলেরও ক্ষতি হচ্ছে। রাস্তাটি এতটাই বেহাল হয়ে পড়েছে যে, প্রতি মুহূর্তে বিপদের হাতছানি। এলাকার হাজার হাজার মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। আমরা চাই, প্রশাসন দু’বেলা রাস্তায় জল ছেটানোর পাশাপাশি দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু করুক।
স্থানীয় বিধায়ক অভিজিৎ রায় বলেন, রাস্তাটি অত্যন্ত বেহাল ঠিকই। তবে, সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। প্রাথমিক কাজও শুরু হয়েছে। রাস্তায় প্রচণ্ড ধুলো উড়ছে। যা থেকে মানুষজনের পথ চলতে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারকে দু’বেলা জল ছেটানোর জন্য বলা হয়েছে।
পূর্ত দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হাসান আলি বলেন, রবিবার থেকে ওই রাস্তায় জল দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু, এদিন মেশিন বিকল হয়ে পড়ায় জল দেওয়া যায়নি। মেশিন সারিয়ে জল দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। তিনি আরও বলেন, রাস্তাটি ভালোভাবে সংস্কারের জন্য ১৯ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকার টেন্ডার হয়েছে। সম্প্রতি ওয়ার্কঅর্ডারও ইস্যু হয়েছে। বড় কাজ। তাই শুরু করতে একটু সময় লাগছে। তারপর পুজোর ছুটি পড়ে গিয়েছে। আপাতত পুজোর আগে মানুষের যাতে অসুবিধা না হয় সেজন্য রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দ ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে। পুজোর পরে জোরকদমে কাজ শুরু হবে। তিন মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য বলা হয়েছে।